করোনা আবহে কতটা জনসেবা? রাজ্য থেকে তৃণমূলস্তরের নেতাদের রিপোর্ট নিচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি জাতীয় May 23, 2020 বর্তমানে করোনা পরিস্থতিতে চলছে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন। এরই মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশ কিছু অংশ নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পায়ে হেঁটে পারি দিয়েছে বহু কিলোমিটার। বিষয়টি চোখের সামনে আসতেই বিক্ষোভ দেখায় বিপক্ষ দলগুলি। সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে সরব হয় বিজেপি। সূত্রের খবর অনুযায়ী পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য পাশে থেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয় নানা রকমের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্র। জানা গেছে সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি কর্মীদের পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এই নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ান চাইলো কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে যে এতদিন পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্য বিজেপির কর্মীরা তাদের যা যা সহায়তা করেছে তার স্পষ্ট রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় সীমা আগামী ৭ দিন এমনটাই জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে কেন্দ্রের তরফে এই রিপোর্টের তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন। যেমন কতজন পরিযায়ী শ্রমিক খাবার পেয়েছেন তার হিসাব দিতে হবে। এছাড়াও তালিকাভুক্ত রয়েছে রেশন মিলেছে এমন পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক সংখ্যা। কতজন ফেস মাস্ক এবং ফেস শিল্ড পেয়েছেন সে বিষয়ও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে একটি ফান্ড খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা দলের লোকদের কাছে অনুরোধ করেন এই ফান্ডে কিছু টাকা অনুদান করার জন্য। জানা গেছে এই ফান্ডে কতজন বিজেপি নেতা অনুদান দিয়েছেন সে বিষয়ক হিসাবও চেয়েছে কেন্দ্র। এমনকি সূত্র মারফত খবর মোট কতজন আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করেছে সেই বিষয়ও সঠিক তথ্য জমা দিতে হবে শীর্ষ বিজেপির হাতে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব শীঘ্রই বিজেপির অন্দরে বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন আসন্ন। বিশেষ করে নির্বাচন হতে চলা বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে – আরও বেশি করে তা পরিলক্ষিত হবে। আর তাই করোনা আবহে দলীয় কর্মীদের কাজের খতিয়ান, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বাড়িয়ে দিচ্ছে জল্পনা। আগামী দিনের সাংগঠনিক রদবদলের ক্ষেত্রে এই রিপোর্ট কি বড়সড় ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে? বিজেপির অন্দরমহলে এই নিয়েই এখন তীব্র জল্পনা। আপনার মতামত জানান -