এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ প্রভাবশালী বিজেপি নেতার, শুরু চর্চা!

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ প্রভাবশালী বিজেপি নেতার, শুরু চর্চা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। তৃণমূল ছেড়ে অনেক হেভিওয়েট নেতা, কর্মীরা যোগদান করতে শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যার জেরে চাপে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। তবে সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল এখন বিরোধী দলের ঘর ভাঙাতে উদ্যোগী হয়েছে। যার অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় বিরোধীদলের নানা নেতাকর্মী যোগদান করছে তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এবার পুরুলিয়া জেলা বিজেপির ব্যাপক ভাঙ্গন চোখে পড়ল। সূত্রের খবর, এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন পুরুলিয়ার জয়পুরের বিজেপি নেতা শংকরনারায়ণ সিংহ দেও।

এছাড়াও জয়পুরের বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান সহ মোট 12 জন নির্বাচিত সদস্য এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলে খবর। তবে শুধু বিজেপি নয়, এদিন কংগ্রেসের জয়পুর ব্লকের সভাপতি চঞ্চল মৈত্রও ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আর পুরুলিয়া জেলায় বিরোধীদলের হেভিওয়েট নেতাদের নিজেদের দিকে এনে তৃণমূল বিরোধী ভোটব্যাংককে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানাল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেলে এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু, কো-অর্ডিনেটর সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সুষেনচন্দ্র মাঝি, জয়পুরের তৃণমূল বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো সহ অন্যান্যরা।

জানা যায়, এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া শংকরবাবু অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। প্রথমে কংগ্রেস করলেও, 2018 সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু এবার সেই তিনিই যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। কেন তার এই দলবদলের মত সিদ্ধান্ত? এদিন এই প্রসঙ্গে শংকরবাবু বলেন, “বিজেপিতে স্বচ্ছতা নেই। দলের জেলা কার্যালয়ের জন্য জমি কেনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে কোনো প্রশ্ন করলেই দলবিরোধী বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিজেপি নানা জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মানুষের কাছে তার জবাব দিতে পারছি না।” তাই দল ছাড়লাম।” কিছু দলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে শঙ্করবাবু দল ছাড়লেন, তা কতটা সত্যি! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রবিন সিংহ বলেন, “বিজেপি ঠিক পথেই চলছে। কেউ হয়ত নিজের মত চলতে চাইছেন। সেটা হয়ে উঠছে না বলেই ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস দল ত্যাগ করেছেন চঞ্চল মৈত্র। এদিন তিনি বলেন, “পাঁচটা বছর কংগ্রেস করে বিধানসভা ভোটের সময় দেখা যাচ্ছে জয়পুর আসনটি ফরওয়ার্ড ব্লককে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই তৃণমূলে এলাম।” যদিও বা এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চঞ্চল মৈত্র দলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখছিলেন না। বৈঠকেও আসছিলেন না। কর্মীরাই অপসারণের দাবি তুলেছিলেন। গত 28 আগস্ট তাকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।”

তবে বিজেপি এবং কংগ্রেসের এই দুই হেভিওয়েট নেতা তাদের দলে যোগদান করায় এখন কিছুটা হলেও উজ্জীবিত পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল বিরোধীদের ঘর ভাঙতে সক্ষম হল, তাতে বিরোধী দল বিজেপি এবং কংগ্রেস পুরুলিয়ায় অনেকটাই চাপে পড়ে গেল। এখন এই দলবদলের ফলে তৃণমূলের শক্তি কতটা বৃদ্ধি হয় এবং বিরোধীরা কতটা চাপে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!