এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির চিন্তন বৈঠকে ডাক পাননি তৃণমূল থেকে আসা অনেক সাংসদরা, জোর জল্পনা

আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির চিন্তন বৈঠকে ডাক পাননি তৃণমূল থেকে আসা অনেক সাংসদরা, জোর জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে এবার বিজেপি বাংলায় অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে। তৃণমূলের সঙ্গে জোর লড়াই করে 18 টা আসুন নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে তারা। অন্যদিকে গত 2014 সালে তৃণমূল বাংলা থেকে 34 টা আসন পেলেও এবার বিজেপির প্রভাবে তাদের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে 22 টি তে। যার ফলে বাংলায় বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তে প্রবল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল রাজ্যের ঘাসফুল শিবির।

ইতিমধ্যেই সেই আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ। আর তাইতো এখন থেকেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে কিভাবে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা যায়, তার জন্য ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে তারা। আর এরই অঙ্গ হিসেবে দু’দিনব্যাপী দুর্গাপুরে বিজেপি চিন্তন বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।

যেখানে সবার ক্ষেত্রে অবাধ প্রবেশ ছিল না। যেমন আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির এই চিন্তন বৈঠকে ডাক পাননি বাংলা থেকে জয়ী হওয়া 18 জন সাংসদের মধ্যে অনেকেই। সূত্রের খবর, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বিজেপির এই বৈঠকের ডাক পেলেও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় আমন্ত্রণ পাননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেও নিশীথ প্রামাণিক, জন বারলারা আমন্ত্রণ না পেলেও এবারের লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত শমীক ভট্টাচার্য, রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসুরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে ভারতী ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, মাফুজা খাতুন এবং খগেন মুর্মুদের বিজেপির এই চিন্তন বৈঠকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠলে পরে তারা সেই বৈঠকে ঢোকার অনুমতি পান। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয় গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

কিন্তু যেখানে লোকসভায় বিজেপি এই সাফল্য করার পর সেই সাফল্যকে পাথেয় করে বিধানসভায় ভালো ফল করবে বলে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে দলের চিন্তন বৈঠকে কেন লোকসভায় জয়ী বিজেপি সাংসদদের ডাকা হল না! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

অনেকে বলছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে অনেক জায়গায় তৃণমূল থেকে অনেকে বিজেপিতে আসলে তাদেরকেই প্রার্থী করে দেওয়া হয়েছিল এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা জয়লাভ করেছিলেন। ফলে তাদের নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় কিছুটা হলেও বিজেপির মধ্যে নব্য বনাম পুরাতনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ফলে সেই সমস্ত সাংসদদের ডেকে বিতর্ককে আর বাজাতে চায়নি গেরুয়া শিবির। আর তাইতো বাংলা থেকে জয়লাভ করা বিজেপি সাংসদদের মধ্যেও বাছাই করা ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেছে বিজেপি।

অনেকে বলছেন, হয়ত বা যে সমস্ত সাংসদরা বিজেপির চিন্তন বৈঠকে উপস্থিত হয়নি, তাদের নিয়ে গেরুয়া শিবিরে অন্দরে সংশয় রয়েছে। আর তাই তো তাদেরকে বৈঠকে নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চায়নি বিজেপি। জানা যায়, এদিন বিজেপির এই চিন্তন বৈঠকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, কিভাবে দলের সংগঠনকে বাড়িয়ে মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগে যাওয়া যায়।

পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় যেভাবে নব্য বনাম আদির দ্বন্দ্বে বিজেপি নেতাদের ঘাম ফুটে উঠতে শুরু করেছে, তা কাটিয়ে কিভাবে সবাইকে একত্রিত করে রাজ্যের ক্ষমতায় আসাটাকেই মূল পাখির চোখ করা যায়, সেই ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চিন্তন বৈঠকে গেরুয়া শিবিরের রাজ্যের সাংসদদের অনুপস্থিতি প্রবল চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!