এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপির সহ সভাপতির ইস্তফা পত্র রাজ্য সভাপতির কাছে , জোর চাপানউতোর বিজেপিতে

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বিজেপির সহ সভাপতির ইস্তফা পত্র রাজ্য সভাপতির কাছে , জোর চাপানউতোর বিজেপিতে


দীর্ঘ চাপানউতোর পেরিয়ে বহু প্রত্যাশিত বিজেপির প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হলেও সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না গেরুয়াশিবিরের। প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া নিয়েই এবার বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। পরিস্থিতি এতোটাই প্রতিকূল হয়ে উঠল যে প্রার্থী ঘোষণার অব্যবহিত পরেই সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন রাজকমল পাঠক।

বৃহস্পতিবার রাতেই নিজের পদত্যাগপত্র রাজ্য বিজেপির দপ্তরে পাঠিয়ে দিলেন রাজকমলবাবু। লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় প্রার্থী ঘোষণার পর এভাবে প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আঙুল তুলে দলীয় সহ সভাপতির ইস্তফা দানের ঘটনায় যথেষ্ট চাপে পড়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা। তবে সে কথা স্বীকার করতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে,”একটু বিক্ষোভ হতেই পারে। অন্য দল থেকে এলে মানতে একটু অসুবিধা হয়।” অর্থাৎ পারস্পরিক কথাবার্তার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

রাজকমলবাবু অভিযোগ,রাজ্যে যেভাবে বিজেপির প্রার্থী বাছাই হচ্ছে তা সঠিক নয়। তাই এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলীয় সূত্রের খবর,দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যবিজেপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন রাজকমল পাঠক। দলের ভালো-খারাপ সময়ে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন।

সপ্তদশ লোকসভা ভোটেও হুগলি কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়তে চেয়েছিলেন রাজকমল। সে প্রস্তাব দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েওছিলেন৷ কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাবকে অবজ্ঞা করে ওই কেন্দ্রে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। আর এতেই মেজাজ হারিয়ে ফেললেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি। তারপই সিদ্ধান্ত নিলেন ইস্তফা দানের। নির্বাচনী প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় দলের আভ্যন্তরীন মনোমালিন্যের বিষয়টি নজর এড়ায়নি রাজনৈতিকমহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের মতে,প্রার্থী বাছাই নিয়ে আগেও বিজেপির অন্দরে কোন্দল হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনেও প্রার্থীবাছাই নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে দলের নীচুস্তরের কর্মীদের। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যে বিজেপির সংগঠন আরো পোক্ত হয়েছে। দল আয়তনেও বড় হয়েছে।

এখন কেন প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসবে? এ প্রশ্ন থেকেই যায়। এই সমস্যা অবিলম্বে সমাধান না হলে গেরুয়াশিবির অনেকটাই দূর্বল হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা ভোটের বাজারে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পারে বলেই আশঙ্কা রয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

অন্যদিকে,প্রথম দফায় বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রে মৃণালকান্তি দেবনাথকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তবে শেষ মুহূর্তে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কোনো হেভিওয়েট বিধায়ককে সেক্ষেত্রে ওই স্থানে আনা হতে পারে।

সূত্রের খবর,শুক্রবার অথবা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার একজন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে আসতে পারেন। তাকেই বারাসাত কেন্দ্র থেকে লোকসভার প্রার্থী করা হতে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। এবার এই প্রার্থী পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে নতুন কোনো দলীয় অসন্তোষ দানা বাঁধবে কিনা সেটা নিয়েও উদ্বেগে রয়েছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!