এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিকে রুখতে অবশেষে কলেজ ভোটের পক্ষে তৃনমূল! শিক্ষামন্ত্রীর পদক্ষেপে ছড়াল জল্পনা

বিজেপিকে রুখতে অবশেষে কলেজ ভোটের পক্ষে তৃনমূল! শিক্ষামন্ত্রীর পদক্ষেপে ছড়াল জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি অভূতপূর্ব ফলাফল করার পরই দিকে দিকে গেরুয়া শিবিরের বিস্তার ঘটতে থাকে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এতদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে রাখলেও লোকসভা নির্বাচনের পরেই সেই অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। বিরোধীশূন্য কলেজগুলিতে ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে শুরু করে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।

যার জেরে প্রবল চাপে পড়ে শাসক দলের ছাত্রসংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মাঝেমধ্যেই কলেজগুলিতে অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধিতাকে পাথেয় করে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, তার জন্য এবার নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে উদ্যোগী হল তৃণমূল।

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। যা নিয়ে বিভিন্ন সময় রাজ্যের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে নানা দাবি সনদও পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি রাজ্যের শাসক দলকে। কিন্তু এবার বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে জেনে সেই কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে শিক্ষা দপ্তর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, রাজ্যের ছাত্র সংগঠনগুলির সাথে এই ব্যাপারে আলোচনায় বসতে চান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সমস্ত রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনকে এই বৈঠকে ডাকলেও সেখানে আমন্ত্রণ পায়নি বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। এখনও পর্যন্ত কবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের সাথে বৈঠক করবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর দিনক্ষণ স্থির না হলেও এই বৈঠক যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

কিন্তু সকল রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনকে শিক্ষামন্ত্রী এই বৈঠকে ডাকলেও কেন সেখানে ব্রাত্য রাখা হচ্ছে বিজেপির অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, যত দিন যাচ্ছে ততই সমাজের সর্বস্তরে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। যে ক্ষেত্রে কলেজগুলিতেও তার ব্যতিক্রম নেই।

এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য বিরোধী দলের ছাত্রসংগঠনকে ডেকে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক করলেও সেখানে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিক না ডাকায় তাদেরকে কোণঠাসা করে দিয়ে সমূলে উৎপাটিত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু কোনো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এইভাবে কি কোন একটি রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে না ডেকে স্বৈরাতান্ত্রিক রাজত্ব কায়েম করছে না রাজ্যের শাসক দল! এখন তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, আসলে বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির প্রভাব বাড়ার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাম কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনকে শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে ডাকলেও বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিকে ডাকার সাহস পাচ্ছেন না! কারন কলেজ নির্বাচনগুলিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে অনেকটাই বেগ পেতে হতে পারে। কিন্তু ছাত্রজীবন থেকেই যদি শাসক দল তাদের ছাত্র সংগঠনকে গণতান্ত্রিক শিক্ষা না দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে কিভাবে সেই ছাত্ররা গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ।

এদিন এই কলেজ নির্বাচন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্থগিত থাকা নির্বাচন ফের চালু করা হচ্ছে। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক বছরের বদলে দু’বছর অন্তর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে। ভোট পর্ব যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য এবিভিপি বাদে সমস্ত দলের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

তবে এত কিছু করেও বৈঠকে এবিভিপিকে না ডাকলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনে এবিভিপি যে লড়াই দেবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় সকলেই। আর সেই লড়াইয়ে যদি এবিভিপি ভালো ফল করে, তাহলে যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কপালে শনি নাচছে, তা আঁচ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!