এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপির পর এবার কংগ্রেসেরও ঘর ভাঙল শাসকদল – জঙ্গলমহলে ‘ম্যাজিক’ দেখাচ্ছেন শান্তিরাম

বিজেপির পর এবার কংগ্রেসেরও ঘর ভাঙল শাসকদল – জঙ্গলমহলে ‘ম্যাজিক’ দেখাচ্ছেন শান্তিরাম


বিজেপির পদচিহ্ন অনুসরণ করে এবার দলে দলে কংগ্রেস নেতারাও এগিয়ে এসে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের উন্নয়নে সামিল হলেন। ফের তৃণমূলের সংগঠন পোক্ত হতে চলেছে জঙ্গলমহলে। বিজেপির অধিকাংশ সদস্যের পর এবার পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি সিঁদরি গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের সদস্যরা সারি বেঁধে তৃণমূলে যোগ দিলেন। আফরোজ আনসারি,অমিত মাহাতো,গায়েত্রী কুমার ও রীনা মাহতোরা এদিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের টিকিট কাটলেন। তাঁদের হাতে জোড়াফুলের পতাকা তুলে দিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঘমুন্ডি বিধানসভার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সুশান্ত মাহাতো। এদিনের যোগদানের ফলে কার্যত বিজেপির একজন ছাড়া বিরোধীশূন্য হল বাঘমুন্ডি সিঁদরি গ্রামপঞ্চায়েত। খুশির হাওয়া জোড়াফুল শিবিরে। ওদিকে উদ্বেগে প্রহর গুনছেন জঙ্গলমহলের গেরুয়াশিবির।

প্রসঙ্গত,এবারের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ১২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩ টি,বিজেপি ৪ টি,কংগ্রেস ৪ টি এবং নির্দল ১ টি আসন পায়। অতি সম্প্রতি বিজেপির তিনজন সদস্য এবং একজন নির্দল সদস্য তৃণমূলে চলে যায়। তারপর এদিন কংগ্রেসের চারজন সদস্যই তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় পাল্লা ভারী হয়ে যায় রাজ্যের শাসকদলের। ফলতে বিজেপির একজন মাত্রই ওই পঞ্চায়েত বিরোধী সদস্য হিসাবে রয়ে গিয়েছে।  লোকসভা ভোটের আগেই এটাকেই বড়সড় সাফল্য হিসাবে দেখছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এ প্রসঙ্গে সুশান্তবাবু জানালেন, নির্বাচনের আগে ভুলবশত ওরা অন্য দলে চলে গিয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচন পরবর্তীকালে ওঁরা পরিস্কার বুঝতে পেরছেন যে এলাকায় উন্নয়ন করতে গেলে তৃণমূলেরই হাত ধরতে হবে। তাই কংগ্রেস,বিজেপি সদস্যরা এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এসেই যোগ দিচ্ছেন। এর জেরে সিঁদরি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সংগঠন আরো শক্তিশালী হচ্ছে।

একই বিষয়ে শান্তিরামবাবুর বক্তব্য হল, সিঁদরি গ্রাম পঞ্চায়েতের এখন সিংহভাগই তৃণমূলের দখলে। দিন যত যাচ্ছে মানুষের বিভ্রান্তি ততোই কাটছে। এখন তো প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়ছে। তবে বিচার বিবেচনা করেই দলে ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে  -এমনটাই জানালেন তিনি। এদিকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর  আফরোহ আনসারি বলেন,এলাকায় উন্নয়নের তাগিদেই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে আবার ‘কিছু জানা নেই’ বলেই মতপ্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেতা বাহাদুর মাহাতে। বিষয় নিয়ে পরে তদন্ত করেই কিছু জানাবেন বলে বক্তব্য প্রকাশ করলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!