এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিজেপির সুরেই কংগ্রেসের শীর্ষনেতার দাবি 23 মের পরে “পিসি-ভাইপোর” বিচ্ছেদ আসন্ন!

বিজেপির সুরেই কংগ্রেসের শীর্ষনেতার দাবি 23 মের পরে “পিসি-ভাইপোর” বিচ্ছেদ আসন্ন!


কথায় আছে, উত্তরপ্রদেশে যে দল ক্ষমতা দখল করে, সেই দলই দিল্লিতে সরকার গড়তে পারে। আর তাই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার বহু আগে থেকেই কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরানোর জন্য একজোট হয়েছে উত্তর প্রদেশের একত্রিত হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর গলাতে।

আর গোবলয়ের রাজনীতিতে একে অপরের অহি-নকুল শত্রু হিসেবে পরিচিত অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি এবং মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের জোট বেধে লড়তে শুরু করেছে। প্রথমে বিজেপি বিরোধী মহাজোটে কংগ্রেসের থাকার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সেই কংগ্রেসকে মহাজোটে না নেওয়ার কথা জানিয়ে পৃথক ভাবে জোট করেছে অখিলেশ এবং মায়াবতী।

আর গোবলয়ের রাজনীতিতে নির্ণায়ক শক্তি হয়ে ওঠা এই দুই দল বিজেপিকে সরাতে মহাজোট করলেও আগামী 23 শে মের পর পিসি-ভাইপোর এই সম্পর্ক টিকবে না বলে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের জনসভা থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বিজেপির নরেন্দ্র মোদির পর এবার সেই একই দাবি করতে শোনা গেল উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা ফারুকাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সলমন খুরশিদকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা ফারুকাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সলমন খুরশিদ বলেন, “আগামী 23 মে ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর এই বিরোধী জোটের সামনে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলে রাহুল গান্ধীই প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর আমাদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে বলে বিজেপি যে জয়ের স্বপ্ন দেখছে, আমার বিশ্বাস মানুষ বিজেপিকে তাড়াতে এবার বুঝেশুনেই ভোটদান করবেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের রাজনীতিতে নির্ণায়ক শক্তি উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়ে ওঠায় প্রথমে কংগ্রেস খুশি হলেও পরবর্তীতে অখিলেশ এবং মায়াবতী তাদের নিজেদের দুই দলের মধ্যে জোট গড়ে তোলায় এবং সেখান থেকে কংগ্রেসকে ব্রাত্য রাখায় কার্যত কিছুটা হলেও চাপে পড়তে শুরু করেছে হাত শিবির। আর তাই ভোট গণনার পর এই বিরোধী জোটের নেতা নেত্রীরা রাহুল গান্ধীরই দ্বারস্থ হবেন বলে মন্তব্য করে এদিন জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন সলমন খুরশিদ।

অন্যদিকে এদিন বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এই কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “2014 সালে লোকসভা ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদি। উনি সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!