তৃণমূল নেত্রীর বাছাই করা এই প্রার্থীই কি ‘ব্যাক-ফায়ার’ করিয়ে দেবেন তৃণমূলের প্রচার? উঠছে প্রশ্ন কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য March 13, 2019 ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪২ এ ৪২ করার লক্ষ্যে ময়দানে নাম তৃণমূল নেত্রী তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে যথারীতি প্রার্থীতালিকায় চমক রেখেছেন। আর এই চমকের অন্যতম বড় নাম যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে অধ্যাপক সুগত বসুর জায়গায় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে স্থান করে দেওয়া। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই অবশ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সুগতবাবু যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন, সেই হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় নাকি এবারের নির্বাচনে লড়ার জন্য সুগতবাবুকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেন নি। আর তাই তিনি দলের পাশে থাকলেও এবারে আর নাকি প্রার্থী হতে পারছেন না। কিন্তু, সুগতবাবুর জায়গায় মিমি চক্রবর্তী? এতবড় চমকটা আশা করেননি আপামর তৃণমূল সমর্থকরাও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে এবার নাম ঘোরাফেরা করছিল, সিপিএমের রাজ্যসভার এক বহিস্কৃত সাংসদ, কলকাতার এক নামী সংবাদপত্রের দিল্লিবাসী প্রবীণ সাংবাদিক, গত দুবারে অন্য লোকসভা থেকে জেতা এক অবাঙালি সাংসদ বা দক্ষিণ কলকাতার এক দাপুটে মেয়র পারিষদের। এখানে জেতার জন্য এক হেভিওয়েট রাজনৈতিক প্রার্থী চাই – আওয়াজ উঠেছিল দলের অন্দরেই, কেননা জল্পনা চলছে এই কেন্দ্রে বামফ্রন্ট এবার প্রার্থী করতে পারে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মত দাপুটে আইনজীবী নেতাকে। আর তাই, দলনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা হতেই চমকিত সকলেই। তবে, তার থেকেও বেশি বিপাকে পড়তে চলেছেন বোধহয় তৃণমূলের প্রচার কমিটি! কেননা এবারে তৃণমূলের প্রচারে অন্যতম বড় জায়গা নিতে চলেছে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় মোদীর ভূমিকা ও তার প্রত্যুত্তরে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ‘প্রমান’ চাওয়া। সারা দেশ যখন এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে মোদী-বন্দনায় মোহিত, তখন তৃণমূল নেত্রী ‘প্রমান’ চেয়েছিলেন এই ঘটনার! এমনকি তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে নাকি খবর আছে (বিদেশী সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে) – নির্বাচনে জেতার জন্য নাকি প্রধানমন্ত্রী ‘মিথ্যা করে’ বলছেন ওখানে অত জঙ্গি মারা গেছে, আদতে মারা গেছে একজন সাধারণ মানুষ! কিন্তু, তৃণমূল নেত্রীর ঘোষিত প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীই যে দলনেত্রীর বিপরীত পথে হেঁটে অন্যকথা বলছেন! সেই সময়ে মিমি চক্রবর্তীর অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল বলছে পুলওয়ামা কাণ্ডে তিনি মর্মাহত। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বায়ুসেনার ‘সাফল্যে’ তিনি গর্বিত! ফলে, তিনি প্রার্থী হতেই, তাঁর তৎকালীন অফিসিয়াল ট্যুইটের স্ক্রিনশট নিয়ে বিজেপি যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার রীতিমত খোঁটা দিয়ে ফেসবুক পোস্ট, এইভাবেই নির্বাচনী প্রচারেও নরেন্দ্র মোদীর জয়গাথা প্রচার করুন! সবমিলিয়ে তৃণমূল নেত্রীর বাছাই করা প্রার্থীর ‘একদা’ অফিসিয়াল স্টেটমেন্টকে হাতিয়ার করেই যে পাল্টা প্রত্যাঘাতে নামবে গেরুয়া শিবির – স্পষ্ট হয়ে গেল তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই। আপনার মতামত জানান -