এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি বিজেপির, বাড়বে শাসকদলের অস্বস্তি?

এবার আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি বিজেপির, বাড়বে শাসকদলের অস্বস্তি?

অতীতে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে নানা জায়গায় নানা সভার অনুমতি চাওয়া হলেও, তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করা হয়। তবে এই ব্যাপারটি সকলের গা সওয়া হয়ে গেলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা অমিত শাহ যখন রাজ্যে আসছেন, তখন তার অনুমতি রাজ্য প্রশাসন দেবে বলে মনে করেছিল একাংশ। এমনকি এই ব্যাপারে যাতে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম অজুহাত না দেওয়া হয়, তার জন্য অনেক দিন আগে থেকেই অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি।

কিন্তু বর্তমানে যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে বিজেপির অমিত শাহের সভা জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। বস্তুত, আগামী পয়লা মার্চ শহীদ মিনারে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের স্বপক্ষে সভা করার কথা রয়েছে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

ইতিমধ্যেই সেই শহীদ মিনারের ময়দান পাওয়ার জন্য সেনার কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ এই ব্যাপারে কোনোরূপ অনুমতি চায়নি। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। তবে বিজেপিও প্রস্তুত, এবারে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে যদি অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে পাল্টা প্রস্তুতি নিতে। সূত্রের খবর, যদি অমিত শাহের এই সভার ব্যাপারে পুলিশ অনুমতি না দেয়, তাহলে তারা আদালতে যাবেন বলে এবার জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। কিন্তু যদি কলকাতা পুলিশ পরীক্ষা চলছে, সেই কারণে বিজেপির এই সভার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানায়, তাহলে বিজেপি কি যুক্তি দেবে!

content_block id=39107]

গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, গত 2014 সালের 25 মার্চ শহীদ মিনারে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী সভা করেছিলেন‌। আর তখনও পরীক্ষা চলছিল। 27 মার্চ ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে সভা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। ফলে সেদিক থেকে আগামী পয়লা মার্চ অমিত শাহের সভার দিন কোনো পরীক্ষা না থাকলেও কেন তাকে সভা করতে দেওয়া হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে বিজেপির তরফে তাদের সভায় যদি অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে তারা আরও একটি যুক্তি দেখাবে বলে জানা গেছে। যেখানে প্রতিবছর পরীক্ষার আগেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি নোটিফিকেশন জারি করা হয়। যেখানে লেখা থাকে যে, পরীক্ষার সময় রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় মাইক বাজানো যাবে না। সেদিক থেকে শহীদ মিনার কোনোভাবেই রেসিডেন্সিয়াল নয়। তাই সেখানে মাইক বাজালেও কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আর সবশেষে বিজেপির পক্ষ থেকে পরীক্ষার সময় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একটি নির্দেশিকা দেখিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে চাপে ফেলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা রয়েছে, পরীক্ষার তিনদিন আগে মাইক বাজানো যাবে না। ফলে 27 শে ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে 12 মার্চ। আর বিজেপির সভা হবে পয়লা মার্চ। তাই সেদিক থেকে এখানেও কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই এই তিন যুক্তি তুলে ধরে নিজেদের সভা যিতে করা যায়, তার জন্য মরণপণ চেষ্টা করবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছে একাংশ।

কিন্তু এরপরেও যদি পুলিশ, প্রশাসন বিজেপির এই সভাতে অনুমতি না দেয়, তাহলে সত্যিই যে রাজনীতির জন্য এবং বিরোধী দলকে সভা করতে না দেওয়ার জন্যই পরোক্ষে তৃণমূলের এই পরিকল্পনা, সেই ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!