বিজেপির কাছে শিক্ষা নিয়েই আবার তৃণমূলস্তর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বামেরা রাজ্য March 26, 2018 বাংলা সহ দেশের নানা জায়গায় সঙ্ঘের সংগঠন তৈরিতে এবার নজর দিচ্ছে সিপিএম। কি ভাবে সঙ্ঘ নিজেদের জমি শক্ত করছে তা থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে সিপিএম শিবির। সিপিএম এর পলিটব্যুরো পার্টি কংগ্রেস আলোচনার জন্য যে রাজনৈতিক সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে আরএসএস ও তাদের তৈরী নানা সংগঠনের কর্মকান্ডের কথা উল্লিখিত রয়েছে। সঙ্ঘের কাজকর্মের উপরে রাজ্যওয়ারি তথ্য পার্টি কংগ্রেসে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এ বিষয়ে কারাটের যুক্তি, “ভোটের সময়ে কার সঙ্গে কী ভাবে জোট বেঁধে বিজেপির জয়রথ আটকানো যাবে, এই মুহূর্তে দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল সেই আলোচনায় ব্যস্ত। কিন্তু বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য সঙ্ঘের কঠোর পরিশ্রমের ফসল। সঙ্ঘ ৪০টিরও বেশি সংগঠনের মাধ্যমে একেবারে বিদ্যালয় স্তর থেকে স্বাস্থ্য পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে কাজ করছে। তারা এক ধরনের মানসিক গড়ন তৈরি করে দেওয়ার পরে বিজেপির পক্ষে ভোট পেতে সুবিধা হচ্ছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সামাজিক স্তরে সঙ্ঘের এই কাজের মোকাবিলা করতে না পারলে শুধু ভোটে জোট করে দীর্ঘমেয়াদি কিছু হওয়ার নেই।” ত্রিপুরা হারের পর পলিটব্যুরোয় মানিক সরকারের পেশ করা রিপোর্টে তিনি জানান,”রাজ্যের পাহাড়ি বা জনজাতি এলাকায় সঙ্ঘ বহু বছর ধরে কাজ করছে। কিন্তু তারা এতটা প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে যে, একটু অনুকূল পরিস্থিতি পেতেই ভোটবাক্স গেরুয়া হয়ে উঠবে তা বোঝা যায় নি।” পলিটব্যুরোর এক সদস্য এদিন বলেন, ”স্কুল, বস্তি, শ্রমিক মহল্লা- নানা জায়গায় সঙ্ঘের সংগঠন কাজ করছে। আমরা জেনেছি আগেই কিন্তু শিথিলতা দেখিয়েছি। সেটা আর চলবে না!” এদিন বাংলার এক সিপিএম নেতার কথায়, “এ রাজ্যে অন্তত সাড়ে তিনশো স্কুলই চালাচ্ছে সঙ্ঘ। তৃণমূল মুখে নানা হুঁশিয়ারি দিলেও বাস্তবে তাদের কাজে গেরুয়া শিবিরের সুবিধেই হচ্ছে। সঙ্ঘ রামনবমী করলে তৃণমূলও তা-ই করছে! তাই বাংলার পরিস্থিতি আরও জটিল।” আপনার মতামত জানান -