এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিকে হটাতে কংগ্রেস ও সিপিএমের সাথে জোট নিয়ে “অপব্যাখ্যা” করেছে সংবাদমাধ্যম “তথ্য বিকৃতি” র দায়ে নোটিশ সংবাদমাধ্যমকে

বিজেপিকে হটাতে কংগ্রেস ও সিপিএমের সাথে জোট নিয়ে “অপব্যাখ্যা” করেছে সংবাদমাধ্যম “তথ্য বিকৃতি” র দায়ে নোটিশ সংবাদমাধ্যমকে


তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই নিজেদের দখলে রাখার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন তো পূরণ হয়ইনি, উল্টে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টি আসন পেয়েছে। আর এরপর থেকেই তৃনমূল থেকে একাধিক জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করে।

যার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির। আর এই পরিস্থিতিতে দলের ভাঙ্গন রুখতে এবং বিজেপির উত্থান আটকাতে বাম এবং কংগ্রেসকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

প্রসঙ্গত, গত বুধবারই রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মান্নান দা এবং সুজন দা আমাদের এবার একসঙ্গে আসা দরকার। সিপিএম ও কংগ্রেস আমার সঙ্গে ঝগড়া করতে পারে। কিন্তু দেশটা তারা ভেঙে তছনছ করে দেবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বললেও বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তা সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করে শাসক পক্ষ। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অপব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীকারভঙ্গের নোটিশ জমা দিয়েছে শাসক দল।

জানা গেছে, মূলত তিনটি বাংলা দৈনিককে বেছে নিয়েই এই নোটিশ জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন তিনটি সংবাদপত্রের নামে এই স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হল! শাসকদলের ব্যাখ্যা, যে সমস্ত সংবাদপত্র মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রথম পাতায় ছেপেছে, তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হবে। আর যারা ভেতরের পাতায় খবর ছেপেছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে না।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের পরিষদীয় দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তাপস রায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যখন পয়েন্ট অফ ইনফরমেশন তোলেন, ঠিক তখনই তার বৈধতা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বাম এবং কংগ্রেসকে। এমনকি স্পিকারকে ঘিরে তারা বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেন। আর এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজনের নামে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীকার বন্ধের নোটিশ জমা দিলেও এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়ের কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করার অভিযোগে প্রথম তিনটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ জমা দিল শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!