এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ব্রেকিং নিউজ – শুভেন্দু-গড়ে বিজেপি-বামফ্রন্টের মহাজোট আটকে দিল শাসকদলকে

ব্রেকিং নিউজ – শুভেন্দু-গড়ে বিজেপি-বামফ্রন্টের মহাজোট আটকে দিল শাসকদলকে

রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তৃণমূল স্তরেই কিস্তি মাত করতে নয়া পদক্ষেপ বিরোধী শিবিরে। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে তালগাছাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বাম শরিক সিপিএমের সাথে জোট বেঁধে বিজেপি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করলো। শুধু তাই নয়, সিপিএমের থেকে বেশি আসন দখলে থাকা সত্ত্বেও বিজেপির পক্ষ থেকে সিপিএমের একমাত্র সদস্যকে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া হলো।

আর উপপ্রধানের পদে একজন নির্দল প্রার্থী অভিষিক্ত হলেন। এইভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দূর্গের প্রথম আঘাত হানলো গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের তালগাছাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকা বেশ উত্তপ্ত ছিলো। সিপিএম ও বিজেপি দলের কর্মী ও সমর্থকদের সাথে একাধিক বার তৃণমূল কংগ্রেস দলের সদস্যদের সংঘর্ষ হয়।

এই উত্তপ্ত পরিস্থতির মধ্যেই পুলিশের উপস্থিতিতে অবশেষ পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য এই গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ছিল ১৩টি। যার মধ্যে ৬টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় ৪টি আসন, সিপিএম ১ টি আসনে এবং নির্দল প্রার্থী ২ টি আসনে জয়লাভ করে। এই সময়ে বিজেপি দাবি করে বিরোধীরা যেহেতু সংঘবদ্ধ রয়েছে এবং তাদের সম্মিলিত আসন সংখ্যা একক ভাবে জয়ী দলের আসনের থেকে বেশি রয়েছে তাই তাদের বোর্ড গঠনের সুযোগ দেওয়া হোক।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিনের সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয় যে, বিরোধী দলের জয়ী প্রার্থীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে যোগ দিতে রামনগর বিডিও অফিসে ঢুকতে যাওয়ার সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের থেকে বাধা প্রাপ্ত হয়। এই সময়েই বিজেপির জয়ী প্রার্থী ও বিজেপি কর্মীরা – তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকদের কাছে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে রামনগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অখিল গিরি সংশ্লিষ্ট এলাকায় উপস্থিত হলে তাঁকে বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা চোখে লঙ্কা গুঁড়ো ছিটিয়ে হেনস্থা করে বলে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। এরপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যজুড়ে যখন বিরোধী শিবির থেকে শাসকশিবিরে নাম লেখানোর হিড়িক পড়েছে তখন দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে একক বৃহত্তম দল হয়েও শাসকদলের বোর্ড গঠন করতে না পারা সকলেরই চোখ টানছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!