এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকটার নাম মুকুল রায়, আগে আগে দেখতে থাকুন ‘মুকুল-ম্যাজিক’ কাকে বলে! দাবি গেরুয়া শিবিরের

লোকটার নাম মুকুল রায়, আগে আগে দেখতে থাকুন ‘মুকুল-ম্যাজিক’ কাকে বলে! দাবি গেরুয়া শিবিরের


প্রিয় বন্ধু বাংলা এক্সক্লুসিভ – মুকুল রায়ের হাত ধরে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, বিষ্ণুপুরের ‘বহিস্কৃত’ তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের ভাইপো (যদিও অনুব্রতবাবু এই ভদ্রলোককে নিজের ভাইপো বলে অস্বীকার করেছেন)। স্বাভাবিকভাবেই এই দলবদল নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বেশ রকমের আলোচনা চলছে। ৬, মুরলীধর সেন লেনের সামনের চায়ের দোকানে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে মুকুল রায়ের এক ঘনিষ্ঠ নেতার সঙ্গে এই নিয়েই আড্ডা হচ্ছিল। সেই আড্ডার নির্যাস হিসাবে যা উঠে এল, তা অনেকটা এইরকম –

২০১৭ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন মুকুল রায় – তখন তা নিয়ে দায়সারা ‘বহিষ্কারের’ এক সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর, বেশ কয়েক সপ্তাহের জল্পনা কাটিয়ে অবশেষে তিনি যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা ফিরহাদ হাকিমের মত হাতে গোনা কয়েকজন নেতাই এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন। অনেক পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একান্ত সাক্ষাৎকারে নাম না করে তাঁর প্রসঙ্গে শুধু জানিয়েছিলেন ‘গদ্দার’।

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-সমর্থকরাও মুকুল রায়কে ‘গদ্দার’, ‘মীরজাফর’, ‘চাটনি’ প্রভৃতি বহু বিশেষনে বিভূষিত করেন। যদিও, কেন ‘গদ্দার’ একথার স্পষ্ট উত্তর কেউ দিতে পারেননি বা দেওয়ার চেষ্টাও করেননি! একজন রাজনৈতিক নেতা রাজনীতির ময়দানে একটি দল করেন – তাঁর সেই দলে কিছু অসুবিধা ঠেকায়, সেই দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করে ও সেই দলের পাওয়া সমস্ত সুবিধাকে বিদায় জানিয়ে অন্য একটি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়ে রাজনীতি করছেন – যে কাজ করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাহলে মমতাদেবী ‘গদ্দার’ নাহলে তিনি কেন ‘গদ্দার’ – প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মুকুল রায়!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে, উল্টে তাঁকে তৃণমূল সমর্থকদের আক্রমন ছিল – তিনি নাকি কাঁচরাপাড়ার গলিতে ঘুড়ে বেড়াতেন, সেখান থেকে দিদি তাঁকে তুলে এনে রেলমন্ত্রী বানিয়েছিলেন! মুকুল রায়ের জীবনে যা কিছু পাওয়া, সবই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে করে তুলে দেওয়া ‘দান ‘, এখন দিদির ছত্রচ্ছায়া থেকে বেরিয়ে তিনি কি করবেন – সেটাই দেখার জন্য বসেছিলেন ঘাসফুলের সমর্থকরা। বেশিরভাগই একধাপ এগিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন – আগে নিজের ছেলেকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নিয়ে যান, তারপর নাহয় তৃণমূলকে ভাঙার স্বপ্ন দেখবেন। কেউ কেউ তো রাজনৈতিক জ্যোতিষীর মত ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন – মুকুল রায় নাকি ঘাসফুল শিবিরের ‘কেশাগ্রও উৎপাটন’ করতে পারবেন না।

সেই মুকুল রায়ই লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই খোলস ছেড়ে বেরোচ্ছেন। সবে একজন তৃণমূল সাংসদ দলে এসেছেন, ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখুন দলটাতে কেমন ঠকঠকানি ধরে গেছে! তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন ওঁদের কতজন নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু সেই সংখ্যাটা যে কত, কল্পনার বাইরে! যারা বলেছিল, ‘মুকুল এবার শুকিয়ে যাবে’, তারা জেনে রাখুক বল এবার বনবন করে ঘুরছে, উইকেট তুলতে হবে না – উইকেট নিজেই এসে ধরা দেবে। একটা দল, যারা স্বপ্ন দেখে তাদের নেত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, তারা নাকি নিজের রাজ্যের ১৭ টা পুরসভাতে ভোটই করতে পারছে না! রাজনৈতিক সচেতন মানুষদের এর থেকে বেশি কিছু ইঙ্গিত দেওয়ার দরকার নেই। আর যারা এরপরেও কিছু বুঝতে পারছে না, তাদের রাজনৈতিক জ্ঞানটা যে কতখানি সহজেই অনুমেয়, সুতরাং তাদের সঙ্গে বিতর্ক বাড়িয়ে লাভ নেই! শুধু একটাই কথা, লোকটার নাম মুকুল রায়, আগে আগে দেখতে থাকুন ‘মুকুল-ম্যাজিক’ কাকে বলে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!