এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের ‘হামলা’ থেকে বাঁচতে এবার জেলার হেভিওয়েট নেতাদেরও কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বিজেপির?

তৃণমূলের ‘হামলা’ থেকে বাঁচতে এবার জেলার হেভিওয়েট নেতাদেরও কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বিজেপির?


রাজ্যে হয়ে যাওয়া শেষ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমশ হাওয়াটা উঠছিল – আর সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর নিঃসংশয়ভাবে বাংলায় প্রধান বিরোধী দলের তকমাটা করায়ত্ত করে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর এখানেই শেষ নয়, বিজেপির প্রতি যে মানুষের সমর্থন ধীরে ধীরে বাড়ছে তাতে ভর করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে অন্তত ২২-৩০ টি আসন পেতে চাইছেন অমিত শাহ।

তার সাথেই তিনি জানিয়েছেন, যদি লোকসভা নির্বাচনে এই ফল করা যায় তাহলে ২০২১ সালে বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন হবে – নবান্নে প্রতিষ্ঠিত হবে গেরুয়া সরকার। কিন্তু, বিজেপি নেতা-কর্মীদের অভিমত – এই কাজ এত সহজ হবে না, কারণ নাকি শাসকদলের ‘সন্ত্রাস’! শাসকদলের নেতা-কর্মীরা তো বটেই, পুলিশ-প্রশাসনকেও কাজে লাগিয়ে নাকি হামলা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগ এতদিন বিভিন্ন সভায় বা সাক্ষাৎকারে করতেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা – কিন্তু এবার তা পৌঁছে গেল সুদূর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের কাছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির তরফে দলের নির্বাচনী দায়িত্ত্ব পেয়েই মুকুল রায় ঘোষণা করেছিলেন, যে বীরভূম জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় একটিমাত্র আসন বাদে বাকি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি, পরে সেই প্রার্থী চিত্রলেখা রায় ‘ভুল স্বীকার’ করে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে তৃণমূলে নাম লেখান। তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল একে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা বলে কটাক্ষ করলেও, মুকুলবাবুদের পাল্টা অভিযোগ ছিল – অনুব্রতবাবু রাস্তায় যে ‘উন্নয়ন’ দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তার প্রভাবেই বিরোধীরা কেউ প্রার্থী দিতে পারে নি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উদাহরন হিসাবে, মুকুলবাবুরা তুলে ধরেন বীরভূমের জেলাস্তরের তিন নেতার উপর তৃণমূলের ‘হামলার’ কথা। বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের ইলামবাজারে ধাবায় গিয়ে কিভাবে বোমাবাজি করা হয়েছে বা জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডলের উপর কিভাবে তিন-তিনবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে (যার মধ্যে একবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলায় কোপ মারার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ) বা প্রাক্তন দাপুটে তৃণমূল নেতা শুভ্রাংশু চৌধুরি বিজেপিতে যোগদান করে ‘সন্ত্রাসের’ মাঝে দাঁড়িয়েও পঞ্চায়েত জিতে নিতেই কার্যত গৃহবন্দী হয়ে আছেন।

আর, বিজেপির তরফে এইসব অভিযোগ ও নিরাপত্তাহীনতার কথা সরাসরি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্তরে। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে বিজেপির জেলাস্তরের এই তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্বে তৃণমূলের হাতে আক্রান্তদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন মুকুল রায়, তখনই রাজ্যে সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে পেতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

যদিও, কেন্দ্র সরকার নিরাপত্তা দিতে চাইলেও – মানুষের মধ্যে থেকে রাজনীতি করার জন্য সেই নিরাপত্তা নিতে চান না বিজেপি জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল। তবে সম্পূর্ণ ভিন্নমত শুভ্রাংশুবাবুর – তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে জয়ের পর থেকে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে রয়েছি। দোকানে পর্যন্ত যেতে পারছি না – সব সময় তৃণমূল হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন চোখ বন্ধ করে রয়েছে, ফলে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। সূত্রের খবর, চারজন করে কেন্দ্রিয়বাহিনী থাকবেন এই নেতাদের সুরক্ষা দিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!