এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > চরমে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! এবার জেলা সভাপতির মাথায় ফাটিয়ে দিলেন আরেক প্রভাবশালী নেতা!

চরমে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! এবার জেলা সভাপতির মাথায় ফাটিয়ে দিলেন আরেক প্রভাবশালী নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। চলছে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির তোড়জোড়, সেইসঙ্গে চলছে বিজেপি কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণ। কিন্তু সেই দলের মধ্যে অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিচ্ছে দলের মধ্যেকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। একাধিকবার প্রকাশ্যে চলে আসছে দলের গোষ্ঠীকোন্দল। যার ফলে মুখ পুড়ছে বিজেপির। আজ আবার দেখা গেল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

বিজেপির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চলাকালীন জেলা সভাপতির ওপর আক্রমণ চালালেন যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি। পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘটেছে এমন ঘটনা। জেলা সভাপতির উপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত আজ শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি বিধানসভার অন্তর্গত, দাঁতন ১ ব্লকের বিজেপি কর্মীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। দাঁতনের রবীন্দ্রভবন অডিটোরিয়ামে চলে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পূর্ব নির্ধারিত সময়ে কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। নির্বিঘ্নে চলছিল এই কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস, দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের প্রাক্তন যুব সভাপতি উত্তম দাস প্রমুখরা। নির্বিঘ্নে চলা এই অনুষ্ঠানে বিরতির সময় হঠাৎ করে উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জেলা সভাপতি সমিত দাসের উপর অকস্মাৎ আক্রমণ করলেন দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের প্রাক্তন যুব সভাপতি উত্তম দাস। অতর্কিত হামলায় মামলায় মাথা ফেটে যায় জেলা সভাপতির।

রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় দাঁতন হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে মেদিনীপুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে এই হামলায় অভিযুক্ত দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের প্রাক্তন যুব সভাপতি উত্তম দাসকে গ্রেফতার করে দাঁতন থানার পুলিশ। আক্রান্ত বিজেপির জেলা সভাপতি আজকের এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন তৃণমূলকে। তাঁর দাবি, এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে। রাজনৈতিক সুবিধালাভের উদেশ্যেই পূর্বপরিকল্পনা মাফিক এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তৃণমূল।

তবে দাঁতনের তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনার জন্য তিনি বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি শিবির। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাকলগ্নে দলের মধ্যে চলা একাধিক গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা দলের ভিত্তিকে বারবার করে দিচ্ছে দুর্বল, দেখা দিচ্ছে অনেক প্রশ্নচিহ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!