এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > হেভিওয়েট বিজেপি নেতার গাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, পাল্টা বিক্ষোভে গেরুয়া শিবির

হেভিওয়েট বিজেপি নেতার গাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, পাল্টা বিক্ষোভে গেরুয়া শিবির


ভয়াবহ দুর্যোগের সময়েও শাসক -বিরোধী রাজনৈতিক তরজা থেকে সংঘর্ষ কিছুই বাদ থাকছে না বাংলায়। মানুষের পাশে থাকতে গিয়ে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপিকে। আর এবার বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ উঠল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দাঁতন এলাকায়।

বর্তমানে একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ আমপানের দাপটে বিধ্বস্ত সকলেই। বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারকে চাপে রাখতে এই দুই ইস্যুতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে না বলে তৃণমূলকে লাগাতার আক্রমণ করা হচ্ছে। আর সেরকমই একটি বিষয় নিয়ে সোমবার দুপুরে দাঁতনের বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে যায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। আর এতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগ, সোমবার দুপুরে বিডিও অফিসে বিজেপির কর্মীরা ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার সময় তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাদের ব্যাপক মারধর করে। জেলা সভাপতি সমিত দাসের গাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠায় এখন রীতিমত ব্যাকফুটে শাসক দল।

জানা যায়, বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণ করার অভিযোগে এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মেদিনীপুরের বটতালচক, কেরানিতলা এবং কেরানিচটিতে বিক্ষোভ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকরা। আর এতেই আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই হামলা করা হল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি সমিত দাস বলেন, “ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীরা আমাদের কর্মীদের তাড়া করে পার্টি অফিসের দিকে নিয়ে গিয়ে মারধোর করে। খবর পেলে বিকালে আমি দলের অন্যান্য নেতাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আমার গাড়ির ওপরেও হামলা চালানো হয়েছে।” একাংশের প্রশ্ন, বিগত বাম আমলে যখন তৃণমূল বিরোধী দলের আসনে ছিল, তখন তারাও তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাত।

আর তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই বাম সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার অভিযোগ তোলা হত। আর এবার তৃণমূল যখন শাসক দল, তখন তাদের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে বিগত সরকারের মতই অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন তৃণমূলকে বিজেপির উপরে এই আক্রমণ করতে গেল? বিজেপি নেতার পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা কতটা সত্যি?

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক বিক্রম প্রধান বলেন, “ওরা ডেপুটেশন দিতে যাওয়ার নামে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছিল। তা সহ্য করতে না পেরে আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করে। তখনই বচসা বাধে। বিকেলে ওদের জেলা সভাপতি আসেন। দুটি অফিসেই কর্মীদের ভিড় ছিল। আমি পুলিশের কাছে খবর দিয়ে আমাদের কর্মীদের সরিয়ে দিই। আমি যখন গাড়ি নিয়ে পার্টি অফিসে যাই, সেই সময় বিজেপি জেলা সভাপতির গাড়ি আমার পেছনে ছিল। পার্টি অফিসে উত্তেজনা দেখা দিলে আমি নিজে আমার কর্মীদের হটিয়ে তার গাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিই।”

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য প্রদান করা হলেও তা মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সাধারণ মানুষ যখন দুর্দিনে, তখন তৃণমূল-বিজেপির এই রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং বচসা রীতিমত হতাশার সৃষ্টি করছে জনমানসে। প্রকৃত রাজনৈতিক দলের কর্তব্য এই সময় মানুষের পাশে থাকা। কিন্তু তা না করে যেভাবে শাসক এবং বিরোধী একে অপরের বিরুদ্ধে তরজায় জড়িয়ে পড়ছেন, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!