এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > অমিত শাহের ‘জন-সম্পর্কের’ পরেই তৃণমূলে যোগ, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি সভাপতির

অমিত শাহের ‘জন-সম্পর্কের’ পরেই তৃণমূলে যোগ, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি সভাপতির


গতকাল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পুরুলিয়ায় তাঁর জনসভার যাওয়ার আগে জনসংযোগ করতে লাগদা গ্রামে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের বাড়ি যান। আর আজ সেই দুই পরিবারের সদস্যরা – গোবিন্দ রাজোয়াড় ও তাঁর মা অষ্টমী রাজোয়াড় এবং শিশুবালা রাজোয়াড় ও তাঁর ছেলে সঞ্জয় রাজোয়াড়, তৃণমূল কংগ্রেস পুরুলিয়া জেলা সহ-সভাপতি মানিকমনি মুখোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় দুপুর ২ টোর সময় তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দলীয় পতাকা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরে সরকারিভাবে যোগদান করতে চলেছেন। এই প্রসঙ্গে প্রিয় বন্ধু বাংলার তরফে টেলিফোনে পুরুলিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজের প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বিদ্যাসাগরবাবু জানান, জোর করে ভয় দেখিয়ে পুলিশের সহায়তায় ওই পরিবার দুটিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল অমিত শাহজি ‘জন-সম্পর্ক’ অভিযান করতে যেটুকু সময়-সুযোগ পেয়েছেন দলমত নির্বিশেষে মানুষের বাড়ি গিয়েছিলেন। কেননা ‘জন-সম্পর্ক অভিযানে’ উনি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক-স্থাপন করতে এসেছিলেন। সেই সম্পর্ক অভিযানে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দেখে ভয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখন নাটক করছে। এই দুই রাজোয়াড় পরিবার আসলে বিজেপিরই সমর্থক – তৃণমূল ও পুলিশ মিলে ওই পরিবার দুটিকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে, পশ্চিমবঙ্গে যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই এই ঘটনায় তা আবার প্রমাণিত। আসলে তৃণমূল এখন সব কিছুর মধ্যেই বিজেপির ভূত দেখছে, আর সেই ভূত এমন তাড়া করছে যে তৃণমূলকে বাংলা ছাড়া করে ছাড়বে। গতকাল পুরুলিয়ায় অমিত শাহজির জনসভায় প্রায় চার লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছিল। স্বাভাবিক কারণেই মমতা ব্যানার্জি সহ গোটা তৃণমূলের ঘুম উবে গেছে, জঙ্গলমহলের মানুষ তো আগেই ওদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে – আর এক তিল জায়গাও ওদের নেই। পুলিশের সাহায্যে গতকাল তৃণমূল আমাদের পতাকা খুলে দিয়েছে, আমাদের সমর্থকদের গাড়িতে ঢিল মেরেছে। রাত নামলেই পুলিশের সাহায্যে আমাদের পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থী ও সমর্থকদের বাড়িতে ওরা হামলা চালাচ্ছে।

বিদ্যাসাগরবাবু বিস্ফোরকভাবে আরো জানান, আসলে পুরুলিয়াতে তৃণমূল ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে গেছে। পুরুলিয়ার মানুষ তৃণমূলকে মাথা থেকে ‘ডিলিট’ করে দিয়েছে। এখন শুধু এখানে তৃণমূলের নোংরামিটা বেঁচে আছে আর পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে গুন্ডামিটা বেঁচে আছে। তৃণমূলীদের আর কোনো ক্ষমতা নেই এখানে কিছু করার, তাই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এইসব করছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সদস্যদের পুলিশের উচিত নিরাপত্তা দেওয়া, অথচ এখানে রাত নামলেই পুলিশের সাহায্যে হামলা চলছে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উপর। পুলিশ থেকে সিআইডি সবাই এসে বলছে এখানে বিজেপি করা যাবে না, তোমাদের তৃণমূল করতে হবে। কিন্তু তৃণমূল যত এরকম অত্যাচার করছে সাধারণ মানুষ তত বেশি স্বস্ফূর্তভাবে বিজেপির উপর আস্থা রাখছে, তত বেশি বিজেপি বাড়ছে। তৃণমূল নিজের ঘর সামলাক আগে, তৃণমূল নেতাদের লম্বা লাইন পরে আছে আমার কাছে। অমিত শাহজির সভায় অনেক তৃণমূল নেতাই যোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঐভাবে ওখানে যোগ দেওয়া যায় না, ধীরে ধীরে দেখতে পাবেন কিরকম ভাঙন শাসকদলে হচ্ছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের চারটি আসন বাদ দিয়ে তৃণমূল লড়াইটা করুক, কেননা এখানে একটা আসনও তৃণমূল পাবে না। লালমাটির দেশে এখন থেকে শুধু গেরুয়া-রাজ চলবে। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন পুরুলিয়া জেলা বিরোধী-শূন্য করে দেবেন, তারপরেই কিন্তু তিনটে ‘খুন’ হল। আর তাই আমরা চাইছি সিবিআইকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করা হোক এই নির্দেশ দিক রাজ্য সরকার – তাহলে বুঝব রাজ্য সরকার সঠিক আছে, রাজধর্ম পালন করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!