প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির প্রভাব যখন ক্রমশ বিস্তার লাভ করতে শুরু করেছিল, তখন মহিলা নেত্রী হিসেবে প্রথম সারিতে দেখা গিয়েছিল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। যাকে “দৌপদ্রী” নামেই চিহ্নিত করেন অনেকে। সামনে বিজেপির প্রধান টার্গেট, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা। সেই মত করে সমস্ত স্তরের রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের বাংলায় মিটিং মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে বিজেপির বাংলায় উত্থানের সময় যে হেভিওয়েট নেতৃত্বকে প্রায়শই দেখা যেত, সেই রুপা গাঙ্গুলি এখন কোথায়! অনেকেই বলছেন, বিজেপি সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবেই পরিচিত। বহুদিন ধরেই সেই রূপা গাঙ্গুলীকে সেভাবে দলের কোনো কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। তবে বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতা, নেত্রীরা যখন ব্যাপকভাবে তৃণমূল বিরোধিতায় প্রচারে নেমে পড়েছেন, তখন তার না থাকাকে কেন্দ্র করে রীতিমত গুঞ্জন বাড়তে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

একাংশ বলছেন, প্রথমদিকে মহিলাদের নিয়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার সংগঠনকে বেশ ভালোভাবেই নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল রূপা গাঙ্গুলীকে। তবে তাকে সেই মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই তিনি কার্যত সাংগঠনিক দিক থেকে সরে যেতে শুরু করেন। সেভাবে কোনো মিটিং মিছিল বা আন্দোলনে অতীতের মতো নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে।

আর এখন একেবারেই বাংলায় বিজেপির কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না এককালের দাপুটে এই অভিনেত্রীকে। কিন্তু বিজেপি এখন যখন সকলকে নিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করে তৃণমূলকে কুপোকাত করতে প্রস্তুত, সেখানে কেন নেই রূপা গাঙ্গুলী? অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বর্তমানে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। সেদিক থেকে দলের পুরোনো নেতা-কর্মীরা অনেকটাই পেছনের সারিতে বলে অভিযোগ একাংশের।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতারা মাঝেমধ্যেই বাংলায় আসছেন। যেখানে রাজ্যে এসে রাজ্য নেতাদের আরও বেশি করে সংগঠনকে চাঙ্গা করার নির্দেশ দিচ্ছেন তারা। আর বিজেপি যখন ক্ষমতার কাছাকাছি অনেকটাই পৌঁছে গেছে বলে গেরুয়া শিবিরের একাংশ দাবি করছেন, সেখানে কেন পিছিয়ে রুপা গাঙ্গুলীর মত বিজেপি নেত্রী?

অনেকে বলছেন, এখন রুপাদেবীকে নিয়ে চর্চা শুরু হলেও, তিনি অনেক দিন আগে থেকেই সেভাবে বিজেপির হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ময়দানে নেই। সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ খোওয়ানোর পর থেকেই সেভাবে দেখা যাচ্ছে না তাকে। তাই তাকে নিয়েই সময় জল্পনা বৃথা বলেই দাবি একাংশের। তবে রূপা গাঙ্গুলী গেরুয়া শিবিরের এই হাইভোল্টেজ সময়ে দলের হয়ে সেভাবে কোনো কর্মসূচিতে না থাকায়, তিনি জার্সি বদল করতে পারেন বলে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এখন হেভিওয়েট এই নেত্রীকে নিয়ে তৈরি হওয়া জল্পনা কতটা সত্যি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।