এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ত্রিফলায় বিঁধেই বিধানসভায় তৃণমূলকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলতে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে! দাবি বিজেপির

ত্রিফলায় বিঁধেই বিধানসভায় তৃণমূলকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলতে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে! দাবি বিজেপির


2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি স্লোগান তুলেছিল, 19 এ হাফ, 21 এ সাফ। আর সেই স্লোগানের উপর ভিত্তি করে গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে বাংলা থেকে 18 টা আসন দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের ওপর কোনো চাপ বাড়াতে শুরু করেছে তারা। আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।

বর্তমানে বাংলার করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক আকার ধারণ করেছে। সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসূচি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের উপর ক্রমশ চাপ বাড়াতে তৎপর ভারতীয় জনতা পার্টি। মূলত তিনটি ইস্যুকে সামনে রেখে এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলকে বাংলায় ক্ষমতা থেকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। কিন্তু কী সেই ত্রিফলা অস্ত্র! যা দিয়ে বিজেপি তৃণমূলের মত দলকে পরাস্ত করতে পরিকল্পনা করছে?

সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাসের সময়ে রাজ্য প্রশাসনের অনিয়মের ভুরি ভুরি অভিযোগকে সামনে এনে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এছাড়াও জল এবং বিদ্যুতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা না পাওয়ায় মানুষের রোষকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে উদ্যোগী তারা। আর তৃতীয় অস্ত্র হিসেবে তাদের কাছে রয়েছে তৃনমূলের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার অভিযান চালিয়ে যাওয়া।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই তিন অস্ত্রের ওপর ভর করেই এগিয়ে যেতে চাইছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, “করোনায় লকডাউনের তৃনমূলের নিয়ন্ত্রাধীন পুলিশ আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তাদের কেন্দ্রে যেতে দিচ্ছে না। আমাদের অনেক সাংসদকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ভয়াবহ দুর্যোগের পর বিধ্বস্ত এলাকায় যাওয়ার জন্য আমাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দুবার বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।”

তিনি রীতিমত আত্মপ্রত্যয়ের “কিন্তু এভাবে আমাদের রোখা যাবে না। আমরা নয়া পরিকল্পনা নিয়ে মানুষের কাছে যাব। তাদের বোঝাবো যে, রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ। এই সরকারকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলা শুধু সময়ের অপেক্ষা!” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, যেনতেন প্রকারেন 2021 এ বাংলার ক্ষমতা দখল করাই বিজেপির কাছে প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেদিক থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে ভয়াবহ দূর্যোগ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার – এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরে এবার ময়দানে নামতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার লকডাউনকে অমান্য করেই মাঠে নামা হবে। এর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের খবর সামনে আসছে। এতদিন, তৃণমূল প্রচার চালাচ্ছিল বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের নাকি খুঁজে পাওয়া। আর তাই এবার পুরোদস্তুর ময়দানে নামতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবির। ফলে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনটি ইস্যু বেছে নিয়ে সাফল্য পাওয়ার প্রক্রিয়া কতটা সফলতা পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!