এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি গড়ে খুন এবং ধর্ষণের হুমকি দিয়ে লিফলেট, চাপে তৃণমূল!

বিজেপি গড়ে খুন এবং ধর্ষণের হুমকি দিয়ে লিফলেট, চাপে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করে আসছে বলে অভিযোগ ভারতীয় জনতা পার্টির‌। এক্ষেত্রে দিকে দিকে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেই কেশপুরে অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্য।

যেখানে বেশকিছু বিজেপি কর্মীদের বয়কট করার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। যে ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আর এবার খড়গপুরে একটি লিফলেট দিয়ে বিজেপি কর্মীদের নাম উল্লেখ করে খুন এবং ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হল। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাতেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বড়কলা এলাকায় একটি লিফলেট দেওয়া হয়। যেখানে বেশকিছু বিজেপি কর্মীদের নাম উল্লেখ করে তাদের খুন এবং ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই লিফলেট কে বা কারা লাগিয়ে দিয়ে গেল, তা নিয়ে শুরু হয় চর্চা। পরবর্তীতে দেখা যায়, সেই লিফলেটের নিচে লেখা রয়েছে, তৃণমূলের অঙ্গীকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ এই ঘটনার পেছনে যে শাসকদল জড়িত, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই লিফলেট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফতোয়া রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে পদ্ম শিবির। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাতে শুরু করেছে তারা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই গোটা ঘটনার পেছনে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে বা যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, গোটা ঘটনার পেছনে যে রাজনৈতিক রঙ লেগে গিয়েছে, তা বলাই যায়। আর এই গোটা ঘটনার পেছনে যে শাসক-বিরোধী তরজা এবং নির্বাচন পরবর্তী হিংসা কাজ করছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকবে। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেও যদি এইরকম হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে, তাহলে বাংলার মত সংস্কৃতি পরায়ন রাজ্যে এভাবে লাগাতার চলতে থাকা ফতোয়া লাগানো নিকৃষ্ট রাজনীতি গোটা দেশের কাছে লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

যা রাজ্যের শাসক দল তথা পুলিশ প্রশাসনকে দিকে বড় প্রশ্ন ছুড়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে ভারতীয় জনতা পার্টি আরও বেশি করে সোচ্চার হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ কেশপুরের পর খড়গপুরে লিফলেট দিয়ে ফতোয়া রাজনীতিতে ফের নাম জড়িয়ে পড়ল ঘাসফুল শিবিরের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!