এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েও গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে তৃণমূলের! জোর চাঞ্চল্য!

বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েও গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে তৃণমূলের! জোর চাঞ্চল্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিজেপির বিরুদ্ধে এবার প্রতিবাদে নামতে হবে। দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে সেভাবে রাস্তায় নামেনি কোনো রাজনৈতিক দল। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতির কিছুটা শিথিল হতে না হতেই পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করা নিয়ে তৃণমূলকে ময়দানে নামার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা করা হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক সমবেতভাবে পথে নামবেন। কিন্তু এবার বিজেপির বিরুদ্ধে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যু নিয়ে তৃণমূলের কর্মসূচি হলেও, সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।

সূত্রের খবর, সোমবার একই ইস্যুতে ইসলামপুর শহরে একদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল এবং অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী পৃথক পৃথকভাবে কর্মসূচি করেন। যার ফলে এখন জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেককে বলছেন একত্রিত হয়ে এই কর্মসূচি পালন করতে, সেখানে জেলার দুই হেভিওয়েট নেতা কেন পৃথক পৃথকভাবে এই কর্মসূচি করলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, এদিন দুপুরে আব্দুল করিম চৌধুরী তার বাড়ি থেকে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মিছিল বের করেন। যা চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত যায়। অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল টার্মিনাল এলাকায় দলের পার্টি অফিস থেকে একটি মিছিল বের করেন। যা পুরাতন বাস স্টপ এলাকা পর্যন্ত যায়।

সেখানে দলের অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামপুর থেকে এই দুই নেতা দুটি মিছিল বের করলেন কেন? এতে কি বিরোধীরা তাদের হাতে নতুন অস্ত্র পেয়ে গেল না? প্রকাশ্যে চলে এল না তৃনমূলের ভেতরকার অনৈক্য? এদিন এই প্রসঙ্গে আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, “দলনেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বাড়িতে বসে না থেকে কাজ করতে। 6 জুলাই থেকে 21 জুলাই পর্যন্ত একাধিক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

অন্যদিকে এই ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “প্রতিটি শহর-গ্রাম, বুথে পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। আমরা সেই কর্মসূচি পালন করেছি‌। করিম সাহেব আলাদা কোনো কর্মসূচি নিয়েছিলেন কিনা, তা জানা নেই।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার করে বলে দিচ্ছেন যে, এবার লড়াইটা আরো বেশি করে শক্ত হাতে লড়তে হবে।

যেখানে দলকে বিজেপির বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিচ্ছেন, সেখানে একটি শহরের দুই নেতা যদি পৃথকভাবে দুটি মিছিল বের করেন, তাহলে তা মানুষের চোখে লাগবে এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে তৃণমূল নেতারা কি নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতেই বেশি ব্যস্ত রয়েছেন, নাকি তাদের কাছে দলের মঙ্গল শেষ কথা নয়! আর তাই কি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এবং করিম চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেও তাদের মধ্যেকার অনৈক্যকে প্রকাশ্যে এনে পৃথক মিছিল বের করলেন?

এখন তা নিয়েই উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে শুরু হয়েছে প্রশ্ন। এখন পরিস্থিতি সামাল দিতে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দুই নেতার উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা জারি করা হয়, নাকি গোটা পরিস্থিতিকে সাধারণ পরিস্থিতি হিসেবেই গ্রহণ করে তৃণমূল নেতৃত্ব, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!