এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহে বড়সড় খুশ খবর গেরুয়া শিবিরের! বাংলায় এই কর্মসূচিতে 2 মাসে 15 লক্ষ নতুন সদস্য

করোনা আবহে বড়সড় খুশ খবর গেরুয়া শিবিরের! বাংলায় এই কর্মসূচিতে 2 মাসে 15 লক্ষ নতুন সদস্য


বর্তমানে গোটা বিশ্ব ভয়াবহ ভাইরাস করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে ব্যস্ত। ভারতবর্ষও তার ব্যতিক্রম নয়। গোটা দেশ সহ প্রতিটি রাজ্য এই ভাইরাসের মোকাবিলা করতে তৎপরতা অবলম্বন করেছে। তবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নিজেদের ঘুটি সাজাচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতে বিজেপির রণকৌশল।

বস্তুত, আগামী 2021 সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর সেই নির্বাচনে তৃণমূলকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসায় বিজেপির কাছে প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেদিক থেকে প্রায় প্রতি মুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সরব হয়ে সোচ্চার হতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা যায়, গত পয়লা মার্চ কলকাতার শহীদ মিনারের সমাবেশে “আর নয় অন্যায়” নামে একটি প্রচার অভিযানের কথা সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় “আর নয় অন্যায়” পেজ খুলে এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ, ফোনের মাধ্যমে তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানানো হয় সাধারণ মানুষকে। আর বিজেপির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি চালু করার পর থেকেই নানা মহলে শোরগোল পড়ে যায়। সত্যিই কি এতে বিজেপি আদৌ সাফল্য পাবে, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। অবশেষে বিজেপির তথ্য অনুযায়ী এবারের চরম বিপাকে পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মাত্র দুই মাসের মধ্যেই “আর নয় অন্যায়” কর্মসূচিতে বাংলার প্রায় 15 লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছে। যা তাদের কাছে বড় সাফল্যের কারণ। আর তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে বিজেপি “আর নয় অন্যায়” কর্মসূচি শুরু করার পরে যেভাবে 15 লক্ষ মানুষ তাদের সাথ দিয়েছেন বলে দাবি করা হল বিজেপির তরফে, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষের এই বিপুল সাড়া আমাদের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল। কেননা রাজ্যবাসীর এই মূল্যবান মতামতের ভিত্তিতে আমরা আগামী দিনে উজ্জ্বল বাংলা গড়ার দিশা তৈরি করব। করোনা মহামারীর এই সংকটময় মুহূর্তে বিজেপি নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। যা দলের জনভিত্তিকে সাধারণ মানুষের কাছে পোক্ত করবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপির কাছে যখন টার্গেট আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, তখন এই কর্মসূচিতে যেভাবে বিজেপি 15 লক্ষ মানুষের সাথ পেয়েছে বলে দাবি করল, তাতে ভবিষ্যতে তাদের এই কর্মসূচিতে আরও অনেক মানুষ শামিল হতে পারেন। যার প্রভাব পড়বে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। যাতে তৃণমূলকে কিছুটা কঠিন রণনীতি তৈরি করে বিজেপিকে মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছে একাংশ। এখন বিজেপির এই “আর নয় অন্যায়” তৃণমূলকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!