এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > CAA-এর আরও বেড়েছে মোদী-শাহর জনপ্রিয়তা? চমকপ্রদ সমীক্ষায় খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে

CAA-এর আরও বেড়েছে মোদী-শাহর জনপ্রিয়তা? চমকপ্রদ সমীক্ষায় খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যেদিন থেকে লাগু হয়েছে, সেদিন থেকেই এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যেই এই আইন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। যা নিঃসন্দেহে বিজেপিকে কোণঠাসা করছে বলেই দাবি করেছিলেন একাংশ। তবে সত্যিই কি এই আইনের ফলে ব্যাকফুটে রয়েছে গেরুয়া শিবির?

সমালোচকদের তরফে এই আইনে বিজেপি কোণঠাসা বলে দাবি করা হলেও, বাস্তব তথ্য কিন্তু বলছে অন্য কথা। সূত্রের খবর, রবিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আইএএনএস- সি ভোটারের সমীক্ষায় বর্তমান অবস্থা নিয়ে তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে বিজেপি’র প্রতি তারা অত্যন্ত সন্তুষ্ট বলে মত প্রকাশ করেছেন দেশের প্রায় 56.4 শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন 62.3 শতাংশ মানুষ।

একইভাবে 70 শতাংশ মানুষের মত যে, তারা যদি সরাসরি ভোট দিতে পারতেন, তাহলে তারা নরেন্দ্র মোদিকে পুনর্নির্বাচিত করতেন। তবে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে কিছু মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধেও মত প্রকাশ করেছেন। যেখানে 23.8 শতাংশ মানুষ মোদী সরকারের প্রতি “কিছুটা সন্তুষ্ট” বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে 19.8 শতাংশ মানুষ বিজেপি সরকারের প্রতি একেবারেই সন্তুষ্ট নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে 20.9 শতাংশ মানুষ সন্তুষ্ট বলে জানা গেছে। আর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন এই সমীক্ষা প্রকাশিত হওয়ার পরই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, নাগরিকত্ব নিয়ে বিরোধীরা যতই তাদের বিরোধিতার সুরকে চওড়া করুন না কেন, নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সরকারের প্রতি এখনও পর্যন্ত দেশের সিংহভাগ মানুষের ভরসা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী আর তার জনপ্রিয়তায় ভর করে ২০১৯-এ পুনরায় নির্বাচনের ময়দানে নামে গেরুয়া শিবির। এদিকে বিজেপিকে আটকাতে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ভুলে এক হয়ে যায় দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধীরা। কিন্তু, দেশের সাধারণ মানুষ বিরোধীদের সেই মহাজোটকে নয়, নিজেদের আস্থার হিসাবে বেছে নেন নরেন্দ্র মোদীকেই।

ফলে, ২০১৪-এর থেকেও বেশি আসন নিয়ে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। আর তাঁর সঙ্গে দোসর হিসাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব নেন অমিত শাহ। আর ক্ষমতায় এসেই মোদী-শাহ জুটি নিতে থাকেন একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। যার মধ্যে শেষ সংযোজন হল সিএএ। আর এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সমস্ত বিরোধীরা উচ্চৈঃস্বরে সরব হয়ে উঠেছেন।

বিরোধীদের দাবি, মোদী-শাহ জুটি নাকি দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন – আর তাই সুযোগ পেলেই দেশের জনগণ বিজেপি সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা বা ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল – বিরোধীদের সেই সুরকে আরও চড়া করেছে। কিন্তু, নতুন এই সমীক্ষা স্পষ্ট করে দিল – দেশের বেশিরভাগ জনতাই মোদী-শাহের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন – যা নিশ্চিতভাবেই গেরুয়া শিবিরকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!