বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন নেত্রী, কি বললেন জেনে নিন জাতীয় July 13, 2018 “পিডিপি-কে ভাঙার চেষ্টা করলে কাশ্মীরে সালাউদ্দিনের মতো আরো অনেক হিজবুল জঙ্গি জন্ম নেবে।”-এই মন্তব্যে সরব হয়ে আরো একবার মোদীসরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন জম্মু কাশ্মীরেরর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি। অর্থাৎ এবার পিডিপি-কোনো দলীয় ব্যাপারে বিজেপি নাক গলালেই পরিমানে অত্যন্ত ভয়ংকর কিছু হতে পারে এমনটাই সাফ কথায় জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে সালাউদ্দিনের প্রসঙ্গ টেনে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সরকার বিজেপি সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ এর জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে পিডিপি-র সঙ্গে জোট বেধে কাশ্মীরেরও ক্ষমতা দখল করে। মুখ্যমন্ত্রী হন বিজপি-পিডিপি জোটের মুখ মেহেবুবা মুফতি। কিন্তু তারপর থেকেই নানান ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপির সঙ্গে পিডিপির মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ের গিয়ে পৌছায় যে জোট শেষমেশ ভাঙনের পর্যায়ে পৌছে যায়। গত মাসেই পিডিপি-র থেকে সমর্থন তুলে নেয় পদ্ম শিবির। বিজেপির এই পদক্ষেপ তৎক্ষনাৎ ক্ষুব্ধ হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন মেহবুবা মুফতি। তারপর থেকেই রাজনৈতিক সংকটে জেরবার দশা ভূ-স্বর্গের। বর্তমানে রাজপাল শাসিত রয়েছে উপত্যকা। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই পিডিপির ছয়জন বিধায়কের মধ্যেও বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে। বিভিন্ন জায়গায় মোদীসরকারের বিরুদ্ধে সরব হতেও দেখা গেছে তাঁদের। এই বিধায়করা হলেন জাভেদ বেগ,ইয়াসির রেশি,আবদুল মজিদ,ইমরান আনসারি,আবিদ হুসেন আনসারি এবং মহম্মদ আব্বাদ বানী। এঁরা এদিন জানান যে বিজেপি থেকে সরে এসে পিডিপি এখন ফ্যামিলি ডেমোক্রেটিক পার্টিতে পরিনত হয়েছে। উল্লেখ্য,রাজনৈতিক সূত্র থেকে জানা গেছে,১৯৮৭ সালে বিধাবসভা নির্বাচনের সময় সৈয়দ সালাউদ্দিনের পরাজয় হয়েছিলো। তারপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ তিনি জানিয়েছিলেন যে চক্রান্ত করে তাকে হারিয়ে দেওয়া হল। এরপরই বন্দুক তুলে নেয় সে। ১৯৯০ সালে সে তাঁর নাম ইউসুফ শাহ থেকে বদলে সৈয়দ সালাইদ্দিন করেছিলো। বক্তব্যে তিনি জানিয়েছিলেন যে, শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতান্ত্রের পথে হেঁটেই সে বিধানসভার সদস্যপদ পেতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাকে তা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি অযথা গ্রেফতার করে তাকে সরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছিলো। তাই কাশ্মীর সমস্যার রোধে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়া ছাড়া অন্য পথ খোলা ছিল না তাঁর সামনে। জঙ্গী হিসাবে তাঁর উত্থানের পরই একের পর পর এক সন্ত্রাসবাদী ঘটনার নজির সামনে আসতে থাকে কাশ্মীরে। এদিন তাঁর নাম উল্লেখ করেই বিজেপি সরকারকে সতর্ক করে দিলেন পিডিপি সমর্থক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি। আপনার মতামত জানান -