এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু হতেই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ! তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত বহু

বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু হতেই চড়ছে রাজনৈতিক পারদ! তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত বহু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো সেভাবে ময়দানে নামেনি। যার কারণে তেমন কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হতে না হতেই শাসক-বিরোধী সংঘর্ষের খবর বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছে। এবার তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গলসির পারাজ এলাকা। জানা গেছে, রবিবার দুপুরে পারাজ গ্রামে বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান চালানো হচ্ছিল। সেই সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা যায়, বিজেপি কর্মী বাবুই কেশের দোকান ভাঙচুর করে তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। আরে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায় জানা গেছে ইতিমধ্যেই এই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত 10 জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন যাদের মধ্যে তিনজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তবে বর্তমানে পুলিশ এসে গোটা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে দু’পক্ষই।

এদিন এই প্রসঙ্গে আহত বিজেপি কর্মী সমর নায়েক, দীপক বাগদি, সন্তোষ বাগদি বলেন, “আচমকা তৃণমূলের কর্মীরা লাঠি, রড নিয়ে আমাদের মারতে শুরু করে। পারাজ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শেখ বাপির নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।” যদিও বা তৃণমূলের শেখ বাপি অবশ্য গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পানাগর থেকে বিজেপি নেতা রমেনবাবু এসে পারাজের কয়েকজনকে গোলমাল পাকানোর প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তার প্ররোচনায় এদিন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আমাদের কর্মীদের গালিগালাজ করেছিল। প্রতিবাদ করতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। আমাদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন।” কিরে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা কি সত্যি! কেন তিনি প্ররোচিত করতে গিয়েছিলেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক রমেন শর্মা বলেন, “লোকসভা ভোটের আগে ওই এলাকায় আমাদের দলের প্রভাব বেড়েছে। এটাই তৃণমূলের রাগের কারণ। আমাদের কর্মীদের নানাভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে।” তবে পাল্টা ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেন দাবি করেন, আসলে বিজেপির অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে। তাই টিকে থাকতে তারা এখন অশান্তি পাকাচ্ছে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় এখন একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে দুই পক্ষ।

তবে এই সমস্ত কিছু যে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে অপরকে টেক্কা দেওয়ার জন্য, তা কার্যত পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের কাছে। তবে সংঘর্ষটা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক লড়াই হলেই বেশি ভালো হত বলে মনে করছেন সকলে। কিন্তু মাঠে ময়দানে নামলেই শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেকে সংঘর্ষের রাস্তায় চলে যান। তাই বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত আসছে, ততই সেই সংঘর্ষের প্রবণতা আরও বাড়ছে। ফলে গোটা পরিস্থিতি কার্যত উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!