এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিল্লির আঁচ এবার বঙ্গ বিজেপিতে, পরাজয় নিয়ে দ্বন্দে দুই হেভিওয়েট!

দিল্লির আঁচ এবার বঙ্গ বিজেপিতে, পরাজয় নিয়ে দ্বন্দে দুই হেভিওয়েট!

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় অত্যন্ত ভালো ফল করেছিল। কিন্তু তার পরবর্তীকালে বাংলার 3 কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি পরাজয়ের ঘটনাটি সামনে আসে। যার ফলে অনেকেই দাবি করতে শুরু করেন, শক্ত পাকাপোক্ত সংগঠন না থাকা এবং বঙ্গ বিজেপির প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মুখ না থাকার জন্যই বিজেপির এই পরাজয় হয়েছে। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি অবশ্য প্রথম থেকেই কোনো মুখ না ছাড়াই লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন।

কিন্তু সেই লড়াইয়ে কি বাংলার মানুষ আদৌ তাদের সমর্থন জানাবেন! দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পর্যদুস্ত হওয়ার পরে এখন বাংলার গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। যা নিয়ে বঙ্গ বিজেপির দুই মতে ফাটল প্রকাশ্যে এল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।

সূত্রের খবর এদিন দিল্লিতে বিজেপি ধাক্কা খাওয়ার পর বাংলার বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এই রাজ্য নিয়ে তার মত প্রকাশ করেন। যেখানে টুইটে তিনি লেখেন, “মুখ্যমন্ত্রী মুখ অবশ্যই চাই। মোদি-শাহই সব রাজ্যে বিকল্প হবেন, এটা চলতে পারে না।” শুধু তাই নয়, মতাদর্শ প্রচার, সুশাসনের বিষয় প্রচার সহ সংগঠনকে যোগদান করার কথা বলেন স্বপন দাশগুপ্ত। কিন্তু শুধু স্বপনবাবু নয়, সংগঠন মজবুত করার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গেছে আরএসএসের মুখপত্রের সম্পাদক রন্তিদেব সেনগুপ্তকেও।

আর বিজেপির একপক্ষ সাফল্য পাওয়ার জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং শক্তিশালী মুখকে সামনে আনার কথা বললেও, তাকে মান্যতা দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন পরোক্ষে স্বপনবাবুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “দিল্লির ভোটের ফলের পর অনেকেই পরামর্শ দিতে পারেন। তবে যারা অন্তত একবার ভোটে জিতেছেন, তাদের থেকে পরামর্শ নিলে ভালো হয়। এরাজ্যে মুখের কোনো অভাব নেই। এখন আমাদের কলকাতা ছাড়া প্রায় সর্বত্রই সংগঠন ভালো রয়েছে। কলকাতাটাও করে ফেলব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু হঠাৎ বিজেপি রাজ্য সভাপতি এভাবে স্বপনবাবুকে নাম না করে কটাক্ষ করতে গেলেন কেন! অনেকে বলছেন, দীলিপবাবু মাঝেমধ্যেই বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মত ছাড়া কারও মতের কথা শোনেন না এবং কেয়ার করেন না‌। কিন্তু সেদিক থেকে বিজেপির মত সাংগঠনিক দলে যেখানে সবার কথা শুনে সিদ্ধান্ত হয়, সেখানে স্বপন দাসগুপ্তের মতো বিশিষ্ট মানুষ যখন একটি মুখকে সামনে আনার কথা বলছেন, তখন নির্বাচনে না লড়ার ব্যাক্তিদের কথা শোনা হবে না বলে সেই স্বপন বাবুকে কটাক্ষ করা কি দিলীপবাবুর রাজ্য সভাপতি হিসেবে সঠিক কাজ হল! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপির একাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্য বিজেপির আসল অসুখটা ধরতে পেরেছেন। কেননা বিগত বাম সরকারের আমলে মানুষ বিকল্প খোঁজে ছিল। আর সেই সময়ে বিরোধী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেছে নিয়েছিল বাংলা সিংহভাগ মানুষ। কিন্তু এবার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন বিকল্প খুঁজছেন, তখন বিরোধী দল বিজেপিকে সমর্থন করার চেষ্টা করলেও, তাদের অন্দরে কোনরূপ মুখ না থাকায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। আর সেদিক থেকে তুলে ধরে যখন দলের ভালো হওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে চাইলেন স্বপন দাশগুপ্ত, তখন তাকে যেভাবে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ, তা দিলীপবাবু সম্পর্কে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার পরিচয় দিলো না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!