এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অন্যদল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে গেরুয়া শিবিরে ঝড় তুললেন হেভিওয়েট!

অন্যদল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে গেরুয়া শিবিরে ঝড় তুললেন হেভিওয়েট!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদ ছেড়ে আবার বাংলার রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। এদিকে তিনি গেরুয়া শিবিরে আবার নতুন করে সক্রিয় হতে শুরু করলে বিজেপিতে নতুন গোষ্ঠীর উত্থান হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু তথাগত রায় অত্যন্ত ঠোঁটকাটা ব্যক্তি, তাই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাকে যদি গেরুয়া শিবির কাজে লাগাতে শুরু করে, তাহলে তার বেশ কিছু মন্তব্য অস্বস্তি তৈরি করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরমহলে।

আর এই বিষয়ে যখন নানা মহলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ছেড়ে যারা বিজেপিতে এসেছেন, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সেই তথাগত রায়। যেখানে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা সৎ উদ্দেশ্যে আসেননি বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়ে দেন তিনি। আর তার এই মন্তব্য ঘিরেই এবার তীব্র গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। হঠাৎ করে কেন এই ধরনের মন্তব্য করলেন তথাগতবাবু?

একাংশ বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে সব্যসাচী দত্ত থেকে শুরু করে শঙ্কুদেব পণ্ডা, অর্জুন সিং থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ, প্রচুর তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এদিন এই মন্তব্য করে কি তাদেরকেই কার্যত কটাক্ষ করলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি?

কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন বিজেপি পুরনো-নতুন সকলকে নিয়ে চলার কথা বলছে, তখন তথাগতবাবু এই ধরনের মন্তব্য করে কি তৃণমূল থেকে আসা সেই সমস্ত নেতাদের মনোবল আরও বেশি করে ভেঙে দিলেন না? যদি তিনি সেই সমস্ত নেতাদের এই কথা বলে আক্রমণ করেন, তাহলে তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে ঠিকমত লড়াই করবেন কিনা! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে তথাগতবাবু বলেন, “দলের উচিত নতুন যোগদানকারীদের জন্য একটি পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা। যোগদানকারীরা কোথা থেকে এসেছেন, তা খতিয়ে দেখা উচিত। কিছু মানুষের সৎ উদ্দেশ্য নেই। তারা মনে করে এবার ক্ষমতায় আসার ভালো সুযোগ রয়েছে বিজেপির। তাই ক্ষমতার অলিন্দে থাকার জন্য অনেক বেনোজল দলে ঢুকে পড়ছে। বিজেপির কিছু নেতার সংকীর্ণতার কারণে কিছু বিজেপি বিরোধী দল ফায়দা লুটছে। তারা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে।

পার্টির উচিত, এই জাতীয় নেতা কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া।” একাংশ বলছেন, তথাগতবাবু এই কথা বলে দলের শৃঙ্খলা স্থাপনের ওপর সবথেকে বেশি জোর দিলেন। তবে তার এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে সাম্প্রতিককালে বা অতীতে অন্যান্য দল থেকে যে সমস্ত নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের মনোবল আঘাতপ্রাপ্ত হল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, একসময় তৃণমূল কংগ্রেস যখন রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে উদ্যোগী হয়েছিল, তখন তারাও বিরোধীদল ভাঙতে শুরু করেছিল। ঠিক তেমনই কর্মী যেহেতু গাছ থেকে পড়বে না, তাই অন্য দল থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে আর একটি দলকে শক্তিশালী করবে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। আর তাই বিজেপির যখন উত্থান ঘটতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই অন্যান্য দল থেকে নেতাকর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করেছেন।

কিন্তু এদিন সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের পরোক্ষে কটাক্ষ করে “দলে বেনোজল ঢুকছে” বলে তাদের পরীক্ষার মধ্যে রাখা উচিত বলে জানিয়ে দিলেন তথাগত রায়। যার ফলে তার এই মন্তব্যে সেই সমস্ত অন্যান্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীরা বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তথাগত রায়ের এই মন্তব্যের ফলে বিজেপিতে পুরনো বনাম নতুনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যাতে আরও বেশি করে দ্বন্দ্বের আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই এখন তথাগতবাবুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবির কতটা অস্বস্তিতে পড়ে এবং এর ফলে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!