এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তীব্র প্রতিবাদ! বিজেপি নেতার সুরেই কথা তৃণমূলের হেভিওয়েট বিদ্রোহী নেতার সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

তীব্র প্রতিবাদ! বিজেপি নেতার সুরেই কথা তৃণমূলের হেভিওয়েট বিদ্রোহী নেতার সরগরম রাজ্য-রাজনীতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের ঘটনার পরেই বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় চীনের জিনিস প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন। ভারতে নানা রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের নানা মতামত রয়েছে। কিন্তু দেশের প্রতি আক্রমণের ক্ষেত্রে সমস্ত নেতা-নেত্রী এক হয়ে বহিশত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই চীনের সঙ্গে যখন ভারতের সংঘর্ষ তৈরি হচ্ছে, ঠিক তখনই দেশের পক্ষ নিয়ে শাসক-বিরোধী মতানৈক্য ভুলে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিলেন তৃণমূলের মোহন শর্মা এবং বিজেপির গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।

জানা গেছে, তৃণমূলের মোহন শর্মা যে গাড়ি ব্যবহার করেন, তার যন্ত্রাংশ চীন থেকে আসে। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যে মোবাইল ব্যবহার করেন, তার যন্ত্রাংশও আসে চীন থেকে। তবে এবার শাসক-বিরোধী সমস্ত মতানৈক্য ভুলে তারা চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করলেন। সূত্রের খবর, এদিন চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন আলিপুরদুয়ার 2 ব্লকের বিন্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিপুল রায়। আর তার পরিবারকে বুধবার সকালে সমবেদনা জানাতে যান শাসক-বিরোধী দুই দলের দুই নেতা। আর সেখানেই চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হন তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “চীনের আগ্রাসনে আমাদের কুড়ি জন সেনা নিহত হয়েছেন। এভাবে চীন আমাদের দেশের ক্ষতি করবে, আর আমরা চুপ করে বসে থাকব সেটা হয় না। চীন আমাদের দেশে ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকার মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। এবার আমরা চীনের পণ্য বয়কট করা শুরু করব।” অন্যদিকে একইভাবে চীনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তৃণমূল নেতা মোহন শর্মাকে।

এদিন তিনি বলেন, “লাদাখে ঘরের ছেলে নিহত হয়েছেন, এটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। তাই এই মুহূর্তে আমাদের চীনের জিনিস বয়কট করা উচিত বলে মনে করি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাব। তারপর তারা যা বলবেন, সেই অনুযায়ী চলব।” অর্থাৎ তৃণমূল এবং বিজেপির দুই দলের মধ্যে যতই মতানৈক্য থাকুক না কেন, ঘরের ছেলে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার পরেই এবার চীনের বিরুদ্ধে রীতিমত সরব হতে শুরু করলেন শাসক এবং বিরোধী দলের দুই হেভিওয়েট নেতা।

অনেকে বলছেন, রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশ সকলের কাছে আগে। তাই সেই দিকটির কথা মাথায় রেখেই যখন ভারতের সঙ্গে চীনের সংঘর্ষের পর প্রচুর জওয়ান নিহত হলেন, তখন বাংলার এক যুবককে মৃত্যু বরণ করতে হয়েছে। তাই সেই যুবকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মোহনবাবু এবং গঙ্গাপ্রসাদবাবুর গলায় উঠে এল চিন বিরোধী মনোভাবের কথা। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে দিয়ে চীনের বিরুদ্ধে সকলের এককাট্টা মনোভাবকেই জোরালো করছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!