এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির হয়ে কাজ করলেও, মুহূর্তের মধ্যে ভোলবদল হেভিওয়েট সাংসদের, তৃণমূলেই থাকার ঘোষণা!

বিজেপির হয়ে কাজ করলেও, মুহূর্তের মধ্যে ভোলবদল হেভিওয়েট সাংসদের, তৃণমূলেই থাকার ঘোষণা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারী কোন দলের সাংসদ, তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই চর্চা হয়েছে বাংলা জুড়ে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের দু’জনকেই যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির দলীয় মঞ্চে। যার ফলে কার্যত ধরে নেওয়া হয়েছিল, তারা ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যদিও বা তাদের সাংসদ পদ খারিজ করতে তাদের দলবদলের বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা দুজনে যে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, এমন কোনো নজির নেই।

তবে তারা যে বিজেপির কর্মসূচিতে যুক্ত হচ্ছেন, সেই বিষয়টি সকলের সামনে প্রকাশ্যে আসে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খুব দ্রুত শিশির অধিকারী এবং সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ খারিজ হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়। আর এই পরিস্থিতিতে আশ্চর্যজনক ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে পেগাসাস ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়ে তিনি তৃণমূলেই আছেন বলে জানিয়ে দিলেন সুনীল মণ্ডল। যাকে কেন্দ্র করে হতবাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

সূত্রের খবর, এদিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গেই পেগাসাস ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান সুনীল মন্ডল। যার জেরে অনেকেই হতবাক হয়ে যান। আর তারপরেই সুনীলবাবুকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। এমনকি তিনি বিজেপিতে কবে গিয়েছেন, সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে দেখা যায় বর্ধমান পূর্বের সাংসদকে। যার ফলে একাংশ বলছেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই সুনীল মণ্ডল থেকে শুরু করে শিশির অধিকারীরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুক্ত হয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এখন তারা অনেকটাই ব্যাকফুটে। তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর শাসক দলের পক্ষ থেকে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ খারিজের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজের সাংসদ পদ রক্ষা করতে এবং রাজনীতিতে যাতে আবার ফিরে আসা যায় এবং তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকা যায়, তার জন্য সুনীল মন্ডলের এই সুকৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন একাংশ।

একাংশের দাবি, দলবদল করে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন সুনীল মণ্ডল থেকে শুরু করে শিশির অধিকারীরা। তারা ভেবেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তৃতীয় বার রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপর থেকে শিশির অধিকারী নীরবতা পালন করলেও, সুনীল মন্ডলের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। সুনীলবাবু একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে তার যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। আর এবার সরাসরি তৃণমূলের প্রতিবাদে নিজেকে যুক্ত করে নিজের সাংসদ পদ বাঁচাতে এবং তৃণমূলের হয়ে সক্রিয় হতে বর্ধমান পূর্বের সাংসদের পদক্ষেপ দেখে অনেকেরই চোখ কপালে উঠতে শুরু করেছে।

তবে সুনীল মণ্ডল এইরকম পদ্ধতি অবলম্বন করলেও, শিশির অধিকারী কি করবেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তবে অনেকে আবার বলছেন, সুনীল মণ্ডল নিজেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদ বলে দাবি করলেও, তৃণমূল অত সহজে তা মেনে নেবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!