এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির দলীয় কোন্দল চরমে, সাসপেন্ড প্রভাবশালী নেতা, জোর চাঞ্চল্য !

বিজেপির দলীয় কোন্দল চরমে, সাসপেন্ড প্রভাবশালী নেতা, জোর চাঞ্চল্য !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –২০২১ এ বাংলার ক্ষমতা দখলে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছে, সাংগঠনিক অদলবদল হয়েছে। দ্বায়িত্ব পেয়েছেন অনেকে, অনেকে আবার পদ হারিয়েছেন। দ্বায়িত্ব পেয়ে অনেকেই ঝাঁপিয়েছেন কাজে, সব চলছে ঠিকঠাক কিন্তু কোথায় যেন দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। আর যেতে শুরু গোষ্ঠীকোন্দল।

তৃণমূল ক্ষমতায় ৯ বছর ক্ষমতাই থাকলেও প্রথমদিকে তেমন গোষ্ঠীকোন্দল দেখা হয়নি। সম্প্রতি তা বেড়েছে অবশ্য ,কিন্তু বিজেপি তো এখনো খামটাতেই আসেনি , সংগঠনও তেমন পোক্ত নয় তার মধ্যেই গোষ্ঠীকোন্দল ঢুকে পড়েছে রাজ্য গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। আর সেই জের গিয়ে পৌঁছালো বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুমন ঘোষ- এর উপরে।

জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইকে কেন্দ্র করে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও বর্তমান জেলা সভাপতির অনুগামীরা কার্যত দ্বিধাবিভক্ত। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেই থাকেন সুযোগ পেলেই এবার এর মধ্যে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠলো বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুমন ঘোষ-এর বিরুদ্ধে। যার জেরে তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করা হল জেলা পার্টি অফিস থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

আজ, মঙ্গলবার জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করেন বর্তমান শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসু। তিনি বলেন,” প্রাক্তন সভাপতি সুমন ঘোষ দীর্ঘদিন পার্টির সাথে যুক্ত না থেকে সমান্তরালভাবে বিভিন্ন ধরনের পার্টির কর্মসূচী পালন করে চলছিলেন। এই বিষয়ে তাকে শোকজ করার পর তার জবাবে পার্টি সন্তুষ্ট হতে পারে নি।”

তাঁর বিরুদ্ধে আরো যেসব অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন শ্যামলবাবু তা হলো ‘দীর্ঘদিন ধরে পার্টির মণ্ডল, জেলাকে না জানিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পার্টির ব্যানার ও ঝান্ডা নিয়ে অনুষ্ঠান করছিলেন।’ এবিষয়ে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয় তাঁদের নির্দেশে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হলো। যার জেরে এখন থেকে সুমন ঘোষ পার্টির কোনো কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এখানেই শেষ নয় কর্মীদের উদ্দেশ্যেও বড়সড় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পার্টির কেউ যেন সুমন ঘোষের সাথে সম্পর্ক না রাখে। দলের নির্দেশকে অমান্য করে যদি পার্টির কেউ তার সাথে যোগাযোগ রাখে তবে তার বিরুদ্ধেও কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

যদিও বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি। সুমন ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, জেলা সভাপতি শ্যামল বসুর কোনো এক্তিয়ার নেই তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করার। একমাত্র পার্টির রাজ্য প্রেসিডেন্টই সাসপেন্ড করতে পারেন।এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুমনবাবু জানান তিনি এর জন্য আদালতে মানহানির মামলা করবেন। আপাতত জল কোনদিকে গোড়ায় তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল,তবে তাঁকে সাসপেন্ড করার পর থেকেই রাজনৈতিকমহলে জল্পনা শুরু তবে কি তিনি এবার তৃণমূলের দিকে পা বাড়াবেন, অনুগামীদের নিয়ে। এদিকে,এখনো পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!