এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বড়সড় স্বস্তি গেরুয়া শিবিরে – লোকসভার আগেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে জোটে ফেরার ইঙ্গিত বৃহত্তম শরিকের

বড়সড় স্বস্তি গেরুয়া শিবিরে – লোকসভার আগেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে জোটে ফেরার ইঙ্গিত বৃহত্তম শরিকের


বিজেপি এবং তার পুরানো জোটসঙ্গী শিবসেনার মধ্যে মন কষাকষি চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে এবার সেই শরিকি দ্বন্দ্বে ইতি পড়তে যাচ্ছে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল। মূলত লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই পারস্পরিক বিবাদ মিটিয়ে নিয়ে, কাছে আসতে চাইছে দুই দলই। মহারাষ্ট্রে লড়াই করতে শিবসেনাকে পাশে চাইছে বিজেপি। গতকালই দু’পক্ষের রুদ্ধধার বৈঠককে কেন্দ্র করে নতুন প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। সংঘাত মিটিয়ে তবে কি এবার সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করল বিজেপি-শিবসেনা? প্রসঙ্গত, গতরাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রাতে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের ‘মাতশ্রী’ বাসভবনে দু’পক্ষের বৈঠক হয়।

বৈঠকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, রাজস্ব মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাতিল উপস্থিত ছিলেন। মূলত আসন ভাগাভাগি নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বৈঠকের পর ফড়নবিশ জানিয়েছেন, “আমরা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আরও কিছুটা সময় কথাবার্তা হতো। কিন্তু কাশ্মীরে পুলওয়ামাতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আলোচনার সময়সীমা কাঁটছাঁট করতে হয়েছে।” ৩০ মিনিটের বৈঠকের পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে একটু স্পষ্ট যে, অতীতে যাবতীয় মন কষাকষি ভুলে লোকসভা ভোটে জোট বাঁধাই দুই শরিকদলের একমাত্রা লক্ষ্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফড়নবিশের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শিবসেনার সঙ্গে জোট নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের আলোচনায় বসা হবে। তখন মহারাষ্ট্রের কৃষক এবং সাধারণ নাগরিকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিজেপির দীর্ঘদিনের পুরানো জোটসঙ্গী শিবসেনা। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে শিবসেনার বিজেপি বিদ্বেষী রূপ সামনে এসেছে। এমনটাও কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপির সঙ্গ ছাড়বে শিবসেনা। কিন্তু সেই জল্পনার ইতি টেনে শুধুমাত্র সমবেত আক্রমণে লোকসভা ভোটে বিরোধীদের পরাস্ত করাকেই টার্গেট করেছেন তাঁরা। আর সেজন্যেই, শরিকি লড়াই মেটাতে দুই তরফই তৎপর হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা ভোটের ঠিক ছ’মাসের মাথায় রয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট। পর পর দুই গুরুত্বপূর্ণ ভোটই পারস্পরিক কোন্দল ভুলতে বাধ্য করেছে এই দুই শরিক দলকে। তবে আসন রফা নিয়ে ফের কোনো সমস্যা তৈরি হবে কিনা তা নিয়ে এখন থেকেই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কিছু। কারণ শিবসেনা বরাবরই ৫০-৫০ এর সমীকরণে আসন রফা করতে উদ্যোগী। ঠাকরের প্রস্তাব, বিধানসভার মোট আসনের ৫০ শতাংশ আসনে তাঁদের প্রার্থী লড়াই করবে। বাকি ৫০ শতাংশ আসনে বিজেপি। ভোটে জিতে এলে পাঁচ বছরের শাসনকালে প্রথমার্ধে তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন আড়াই বছর। বাকি আড়াই বছর কুর্সির ভার ছেড়ে দেওয়া হবে বিজেপিকে।

আর দুই শরিকের বৈঠকে শিবসেনার এই দাবীই বিজেপিকে চাপে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি আদৌ এতে সম্মতি দেবে কিনা সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা এদিন বলেছেন, এটা শিবসেনার সঙ্গে আসন রফা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা ছিল। তাঁদের প্রস্তাব উপরমহলকে জানানো হবে। তাঁরা যা ঠিক করবেন সেটাই হবে। পরবর্তীতে আবার বৈঠকে বসা হবে। এখনই এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে ভোট জয়ের ক্ষেত্রে জোটের প্রয়োজনীতা স্বীকার করে নিল দুই দলই। সবথেকে বড় কথা, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট ভেঙে গেলে রাজনৈতিক ফায়দার কথা ভাবছিল যেসব দল, তারা এই আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন – বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!