এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দল নিয়ে চূড়ান্ত হতাশ বিজেপি কর্মীদের সোশ্যাল বিস্ফোরণ বাড়ছে! আটকাতে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

দল নিয়ে চূড়ান্ত হতাশ বিজেপি কর্মীদের সোশ্যাল বিস্ফোরণ বাড়ছে! আটকাতে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে ভালো ফল করেছিল। 18 টি আসন পেয়ে তারা প্রমাণ করে দিয়েছিল যে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধী দল হিসেবে রাজ্যে গড়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তবে একতা না থাকলে যে কোনো কিছুই সম্ভব নয়, তা বারবার প্রমাণ হয়েছে রাজনীতিতে। আর তাইতো লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পরেই, অনেক নেতাকর্মীরা আত্মপ্রত্যয়ী হতে শুরু করেন।

দেখা যায়, পদ পাওয়ার জন্য দলের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় প্রতিযোগিতা। নব্য বনাম আদি বিজেপি কর্মীদের মধ্যে যেমন দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যায়, ঠিক তেমনই পধ না পেয়ে অনেক পুরাতন বিজেপি কর্মীরা প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেন। যা নিঃসন্দেহে বিজেপি নেতৃত্বের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলায় কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর সেখানে দলের অন্তর্কোন্দল সামনে চলে আসে।

উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা মালদহ জেলা বিজেপির পর্যবেক্ষক শংকর চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে দল হারবার জন্য রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী তাকে ফোন করে রীতিমতো ধমকাচ্ছেন। যে ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন তিনি। আর এরপরই বিজেপির অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু শঙ্করবাবুই নয়, উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির আরেক নেতা সুরজিৎ সেনও কর্মপদ্ধতি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। তবে এবার দলের শৃঙ্খলা যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলা কর্মীদের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি নির্মল দাম বলেন, “শুক্রবার মিটিংয়ে নির্দেশিকা জারি করে ইতিমধ্যেই জেলার সব স্তরের নেতাদের বলেছি, যা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা নিষিদ্ধ।”

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এই ধরনের লেখালেখি দল অনুমোদন করে না। তারপরেও যদি কেউ এই ধরনের পোস্ট করেন, তবে দলের তরফে রাজ্যকে জানানো হবে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু নির্মলবাবু যখন এই কথা বলছেন, তখন জেলা বিজেপির নেতা সুরজিৎ সেন সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার একটি ভিডিও পোস্ট করে তার বিতর্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে নির্মলবাবু বলেন, “আমি তার ভিডিও দেখিনি। তবে দলের উর্দ্ধে কেউ নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার বিষয়ে যদি দল যে নির্দেশ জারি করেছে, রবিবার একটি মিটিং করে তার রেজুলেশন নেওয়া হবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব যে চরম আকার ধারণ করেছে, তা ক’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ বোলালেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছিল।

ফলে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব যে দলকে ডুবাতে পারে, তা উপলব্ধি করে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় রাশ টানতে চাইছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। আর তার জন্যই শংকর চক্রবর্তী হোক বা সুরজিৎ সেন, সবাইকে সতর্ক করে দিল পদ্ম শিবির। তবে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বিদ্রোহী নেতা কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে রাশ টানতে চাইলেও, তা কতটা কার্যকরী হয়! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!