উপনির্বাচন অতীত! পুরসভাতে বাজিমাত করতে এখন থেকেই আসরে নেমে পড়ল বিজেপি! উত্তরবঙ্গ রাজ্য December 4, 2019 বিগত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল ধরাশায়ী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে একটি আসন দখল করেছে কংগ্রেস। সেদিক থেকে উত্তরবঙ্গ একসময় তৃণমূলকে ব্যাপক সমর্থন দিলেও, এবারের লোকসভায় তৃণমূল সেখান থেকে একটি আসনও পায়নি। যার পরে কার্যত হতাশ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। তবে রাজনীতিতে সব সময় এক পরিস্থিতি থাকে না। কখনও কারো ভালো হয়, আবার কখনও বা কারও অবস্থা খারাপ হয়। সেদিক থেকে লোকসভায় তৃণমূলের অবস্থা খারাপ হলেও সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে সেই তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি হতে দেখা যায়। উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জে লোকসভায় তৃণমূল বহু ভোটে পিছিয়ে থাকলেও, সদ্যসমাপ্ত উপনির্বাচনে সেইখানে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী। যার ফলে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রভাব রাজ্যে অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। তবে উপনির্বাচনের হারের কথা ভেবে তারা যে বসে থাকবেন না, তা বারবার বিজেপি নেতৃত্বের কথায় উঠে এসেছে। আর এবার কাজেও তা করে দেখালেন বিজেপি নেতারা। উপনির্বাচনে পর্যদুস্ত হওয়ার পর বসে না থেকে, এবার পৌরসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির। বস্তুত, লোকসভায় বিজেপি কোচবিহারে জয়লাভ করলেও উপনির্বাচনে 3 কেন্দ্রে পরাজয়ের পর সেখানে বিজেপির হাওয়া ফিকে হবে বলে মনে করেছিল একাংশ। কিন্তু এদিন কোচবিহার পৌরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতৃত্ব প্রমাণ করে দিলেন যে, তারা ময়দানেই রয়েছেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পৌরসভার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি দেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যায়, এদিন দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব মহকুমা শাসকের দপ্তরে যায়। আর সেখানেই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। যার মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে হাউসিং ফর অল প্রকল্পে স্বজনপোষণ বন্ধ, ডেঙ্গু রোধে মশা মারার ব্যবস্থা, যানজট সমস্যার সমাধান, নিকাশি ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক চুল্লি মেরামত, সাফাই কর্মীদের প্রতি মাসে সঠিক বেতনের দাবি জানানো হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, “কোচবিহার পৌরসভার বিভিন্ন পরিষেবা বেহাল রয়েছে। আমরা এইসব নিয়ে দলের কোচবিহার পৌর মন্ডলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়েছি। আগামীতে আমরা এই ইস্যুগুলো নিয়ে আন্দোলনে নামব। পৌরসভার চেয়ারম্যান বলেছেন উন্নয়নের টাকা নেই। অথচ পৌরসভার উন্নয়নের টাকা ফেরত চলে যাচ্ছে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। আমরা পৌরসভার বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়েও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আন্দোলনে নামব।” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপি দিয়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলার চেষ্টা করা হলেও পাল্টা বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান ভূষন সিং। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছে না, তারা ধৃতরাষ্ট্রের মত অন্ধ। পৌরসভা এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। এসব বলে কোনো লাভ হবে না।” তবে কোচবিহার পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান যে কথাই বলুন না কেন, কোচবিহার পৌরসভাকে যে বিজেপি টার্গেট করে রেখেছে, তা তাদের এদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি তাতেই প্রমাণ হয়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে বিজেপি ময়দানে নেমে এখন তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা বিপাকে ফেলতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -