মুখ্যমন্ত্রীর সাধের তরাই-ডুয়ার্সের ‘ক্ষোভ’ প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে সমাধানে অভিনব পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের উত্তরবঙ্গ জাতীয় রাজ্য December 30, 2018 মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রাজ্যের দায়িত্ত্ব নেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যের ঘোষণা ছিল তাঁর ‘প্রায়োরিটি লিস্টের’ অন্যতম শীর্ষ দুটি বিষয় হল – পাহাড়ের হাসি ফেরানো ও জঙ্গলমহলের হাসি ফেরানো। সেই কাজে তিনি ১০০% সফল বলে দাবি করে থাকেন তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা। আর তিনি নিজে, পাহাড়ের পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশের ‘হাসি’ ফোটাতেও মরিয়া। আর তাইতো বারবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে তিনি একের পর এক বোর্ড ঘোষণা করে সেখানকার উন্নয়নের চেষ্টা করে গেছেন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রচেষ্টায় আদতে কিছু লাভের লাভ হয় নি বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। আর তাইতো, তরাই-ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের দুর্দশার সমাধান করতে মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার নেতৃত্ত্বে একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি যাচ্ছেন। সেই দলে – দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ১৫ জন চা শ্রমিক, দলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা জন বারলা এবং দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার – বিজেপির চার সাংগঠনিক জেলার দলীয় সভাপতিরাও থাকবেন বলে জানা গেছে। মূলত, চা শ্রমিকদের জীর্ণ আবাসন, পরিশ্রুত পানীয় জল, বিদ্যুৎ ও ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরবে ওই প্রতিনিধিদল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শীতকালীন অধিবেশনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই প্রতিনিধি দলকে সময় দেবেন বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে দলীয় বিধায়ক ও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সাম্ভাব্য প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, তরাই ও ডুয়ার্সের প্রতিটি চা বাগানে শ্রমিকরা পরিশ্রুত পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও জরাজীর্ণ আবাসন সমস্যায় ভুগছে। চা বাগানগুলি পঞ্চায়েতের আওতায় এলেও তৃণমূল সরকার বন্ধ চা বাগান খোলা ও মজুরি ঘোষণা সহ শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেটাই বলব। অন্যদিকে, বিজেপির এই উদ্যোগকে চূড়ান্ত রূপে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ত্ব। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল চা বাগান মজদূর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি মোহন শর্মা সংবাদমাধ্যকে জানান, বিজেপি নেতাদের অভিযোগ শুনলে ঘোড়াও হাসবে! কেন্দ্র ‘টি বোর্ডকে’ দিয়ে অধিগ্রহণ করেও মাদারিহাটে একটি গ্রুপের সাতটি অচল চা বাগানের একটিও খুলতে পারেনি। রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়ে ইতিমধ্যেই ওই গ্রুপের কয়েকটি চা বাগান খুলে দিয়েছে। কয়েকটি বন্ধ বাগানও খোলা হয়েছে। বাস্তবে লোকসভা ভোটের আগে চা শ্রমিকদের নিয়ে গেরুয়া শিবির রাজনীতি করছে। আপনার মতামত জানান -