এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিলীপ থেকে অর্জুন – আক্রান্ত একের পর এক দলীয় নেতা! আজ রাজ্যজুড়ে বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচি বিজেপির

দিলীপ থেকে অর্জুন – আক্রান্ত একের পর এক দলীয় নেতা! আজ রাজ্যজুড়ে বড়সড় প্রতিবাদ কর্মসূচি বিজেপির

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পরই রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতদিন বাংলায় তৃণমূল রাজ করলেও, লোকসভা নির্বাচনের পর বিরোধীদল হিসাবে তুমুল উত্থান হয় গেরুয়া শিবিরের। আর তারফলে শাসকদলের প্রতিহিংসা চরম আকার নেয় বলে অভিযোগ করতে শুরু করে বিজেপি শিবির। তাদের আরও অভিযোগ, দিকে দিকে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে বিজেপির নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল।

আর রাজ্যের শাসক দলের নেতাকর্মীরা তাদের জনপ্রতিনিধিদের ওপর এই আক্রমণ চালালেও পুলিশ ঠুটো জগন্নাথ হিসেবে বসে আছে বলেও দাবি বিজেপির। ইতিমধ্যেই গত শুক্র ও শনিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের উপর দক্ষিণদাড়ি এবং বর্ধমানে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হতে হয় বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকেও। আর রবিবার লাঠির আঘাতে আক্রান্ত হন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এবার একের পর এক দলের নেতা, সাংসদ, বিধায়কদের উপর আক্রমণ নেমে আসায় রাজ্যজুড়ে বড়সড় কর্মসূচি নেওয়ার উদ্যোগ নিল গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, আজ সকালে কলকাতার শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে বিজেপির তরফে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হবে। পাশাপাশি এদিন রাজ্যের 23 টি জেলার পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে রেখে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ন্ত্রণের দাবি জানাবেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। আর সপ্তাহের শুরুর দিনে বিজেপির এই জোড়া বিক্ষোভ যে পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিতে পারে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “রাজ্যজুড়ে মাৎস্যন্যায় চলছে। প্রতিদিন বিজেপির নেতা, কর্মীরা দিকে দিকে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। দীলিপবাবুর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা করছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জবাব গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন।

আর তার আগে বাংলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার করুণ রূপ সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে তুলে ধরে তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনকে বিপাকে ফেলতে চাইছে বিরোধী দল বিজেপি। আর তাইতো তাদের একের পর এক নেতা, বিধায়ক, সাংসদ যখন তৃণমূল ও পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে, ঠিক তখনই এই গোটা বিষয়টি তুলে ধরে আন্দোলনে ঝাঁপাতে চাইছে তারা। অবশ্য, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এত সহজে যে হাল ছেড়ে দেবে না স্পষ্ট। বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি আটকাতে পথে নামতে পারে তারাও – সবমিলিয়ে রাজনৈতিকভাবে দুই যুযুধান পক্ষই এদিন রাস্তায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!