প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হেভিওয়েট রাজনীতিবিদদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন জল্পনা চলছে, ঠিক তেমনই বাংলার বিশিষ্টজনেদের অবস্থান নিয়েও বর্তমানে তৈরি হচ্ছে জল্পনা। এক্ষেত্রে 2011 সালের কথা অনেকে মনে করতে শুরু করেছেন। তৎকালীন বাম সরকারের আমলের শেষের দিকে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে নিজেদের দিকে টানতে শুরু করেছিল। একাধিক বিশিষ্ট জনপ্রিয় সমাজসেবী থেকে শুরু করে নাট্যকার, এমনকি অভিনেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ময়দানে নামতে শুরু করেন।

আর এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে রাখতে বাংলা সিনেমা জগতের দিকে হাতছানি দিতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি? একের পর এক বিশিষ্ট অভিনেতা, অভিনেত্রীদের নিজেদের দিকে টানতে শুরু করেছে তারা। আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা বাড়িয়ে সম্প্রতি বিশিষ্ট অভিনেতা তথা টলিউডের “মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি” বলে পরিচিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।

যেখানে এই হেভিওয়েট অভিনেতার হাতে “অমিত শাহ অ্যান্ড দ্যা মার্চ অফ বিজেপি” এই বইটি তুলে দিতে দেখা যায় তাকে। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মত প্রথম সারির অভিনেতা এবার কি যোগ দিতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে! তা নিয়ে গুঞ্জন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।

তবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যখন জল্পনা চরম আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই এই বিষয়ে মুখ খুললেন মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি। যেখানে সমালোচকদের সমালোচনায় কার্যত জল ঢেলে দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা খুবই একটা সহজ সাক্ষাৎকার। আমার ভালো লেগেছে। তাই পেষ্ট করেছি। কে কোথায় যোগ দেবেন, কাকে ভোট দেবেন, সেটা সম্পূর্ণ আমার অধিকার। কিছু মানুষের হাতে অনেক সময় রয়েছে। তারাই এই বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা কিংবা চর্চা করছেন।”

তবে প্রসেনজিৎবাবু এই ব্যাপারে জল্পনাকে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তার কথার মধ্যে যথেষ্ট জল্পনা রয়েছে বলে দাবি করছেন একাংশ। অর্থাৎ স্পষ্ট করে তিনি যে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না, এমন কিছুই বলেননি এই অভিনেতা। বরঞ্চ ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখতে দেখা গেছে তাকে। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, সাম্প্রতিককালে রুদ্রনীল ঘোষ সহ একাধিক অভিনেতা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আগামী দিনে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যিনি স্বর্ণযুগের নায়ক হিসেবে পরিচিত, তার বাড়িতে বিজেপি নেতার উপস্থিতি এবং একসাথে ছবি নিঃসন্দেহে জল্পনাকে বাড়িয়ে দেয়। সাম্প্রতিককালে প্রসেনজিৎবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই দাবি করেন একাংশ। আর তার মাঝেই এই ধরনের ছবি আর বিজেপি যোগের গুঞ্জনকে তীব্র থেকে তীব্রতর করে তোলে। তবে এই পরিস্থিতিতে সেই ব্যাপারে কার্যত সমস্ত জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিলেন হেভিওয়েট এই অভিনেতা। তবে মুখে তিনি যে কথাই বলুন না কেন, আগামী দিনে তিনি কোন পথে পা বাড়ান, কি হয় তার ভবিষ্যৎ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।