ফের বিজেপির ঘরে বড়সড় হানা দিলো রাজ্যের শাসকশিবির, চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরে ! নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য July 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –লোকসভা ভোটের পর থেকে যে বিপুল পরিমাণে সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, কাল ক্রমে দেখা যাচ্ছে একে একে তাঁরা বিজেপির ঘর ছাড়ছেন। 2019 এর লোকসভা ভোটে বিজেপির যে ফলাফল হয়, তার নিরিখে বিজেপি দলে পরবর্তী কালে বিভিন্ন দল থেকে নেতা সদস্যরা এসে যোগদান করেন। পিছিয়ে ছিল না এ রাজ্যের শাসক দলও।সেখানেও বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা এসে শাসক দলে যোগদান করেন। কিন্তু এখন বিজেপি দলে ভাটার টান। একে একে সব দলবদল কারীরা আবার নিজেদের দলে ফেরার রাস্তা ধরেছেন। ঠিক একইভাবে বিজেপিতে আবার ধরল ভাঙ্গন। জানা যাচ্ছে এদিন বিজেপি ও বাম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছে ২৫ টি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়ি অঞ্চলের ৮৫ নং বুথে। তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি ছিল এদিন। সেখানেই এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নবাগত কর্মীদের হাতে তাঁরাই এদিন দলীয় পতাকা তুলে দেন। জানা গেছে, দলবদল এর ফলে তৃণমূলে যোগ দিয়েই দলবদলকারীরা পুরনো দল বিজেপির প্রতি তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেকেই একই অভিযোগ জানাচ্ছেন। যেভাবে জোর করে সারাদেশে নাগরিকত্ব আইন চাপাতে চাইছে বিজেপি, তাতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আর সেই কারণেই এদিন দলবদল এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অবশ্য অন্যদিক থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন, লোকসভা ভোটের পর ভুল বুঝিয়ে বিজেপি তাঁদের কর্মীদেরকে দল ছাড়া করেছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বর্তমানে সারা দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তারই প্রভাব পড়েছে এদিন দলবদল কারীদের মধ্যে। যেভাবে জোর করে এই আইন লাগু করার কথা চলছে, তাতে ক্ষুব্ধ তাঁরা। সেই কারণেই বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলবদলকারীরা। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে চলেছেন তা দেখেই তৃণমূলের আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন দলবদলকারীরা। তবে, লোকসভা ভোটের বেশ কিছুদিন পর থেকেই প্রতিনিয়ত দলবদল এর ঘটনা বিজেপি শিবিরকে যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বিজেপি শিবিরে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে একে একে যেভাবে বিজেপি থেকে নেতাকর্মীরা দলবদল করছেন, তাতে আগামী দিনে এ রাজ্যে বিজেপি যথেষ্ট বেকায়দায় পড়তে পারে। তাই রাজ্য বিজেপির উচিত এই সমস্যার সত্ত্বর সমাধান করা। আবার, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ বিজেপি সদস্য গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয় তাহলে বিজেপি শিবিরে সত্যিই ধ্বস নামলো। আপাতত পুরো ব্যাপারটিই নজর রেখেছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -