উলট পুরান, বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে ঘর ভাঙল তৃনমূল, জেনে নিন কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য July 27, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পরই তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাতে শুরু করেছিলেন। যাতে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে উত্তর 24 পরগনার কাঁচরাপাড়া, হালিশহরের মত যে সমস্ত পৌরসভার কাউন্সিলররা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। যাতে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত হয়েছে ঘাসফুল শিবির। যদিও বা তারা সকলেই বিজেপির সঙ্গে আছে বলে পাল্টা দাবি করেছে পদ্ম শিবির। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে এবার ফের বিজেপিকে প্রবলভাবে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগদান পর্ব সম্পন্ন হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ভবনে এক অনুষ্ঠানে সোনামুখীর পাঁচালের ইছারিয়া – জগদ্দলার প্রায় 350 পরিবার বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। যেখানে তাদের তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। জানা যায়, এদিন পাচাল অঞ্চল বিজেপি নেতা দয়ারাম রায়ও তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু কি কারণে তারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসলেন! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে দয়ারাম রায় বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে বিজেপির ভোট পরবর্তী হিংসা এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমাদের সভাপতির শ্যামল সাতরার অনুপ্রেরণায় আজ আবার তৃণমূলে যোগ দিলাম।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রায় প্রতিদিনই আমাদের দলে প্রচুর মানুষ যোগ দিচ্ছেন।” সব মিলিয়ে বিজেপির এই ভরা বাজারে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রচুর বিজেপি কর্মী। আপনার মতামত জানান -