ফের বিজেপিতে বড়সড় ভাঙ্গন ধারালো তৃণমূল, উত্তরবঙ্গে ঘর গোছাচ্ছে ঘাসফুল শিবির! উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার মধ্যে অন্যতম একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র। এখানে জয়লাভ করেন বিজেপির সুকান্ত মজুমদার। আর বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি দখল করার পর থেকেই তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখাতে শুরু করেন। এমনকি তৃণমূলের এই জেলায় অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব মিত্রের মত ব্যক্তিত্বকেও নাম লেখাতে হয় গেরুয়া শিবিরে। তারপর থেকেই জেলায় তৃণমূলের ভাঙ্গন ঘটবে বলে ব্যাপক আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু তেমনভাবে দলবদল হতে দেখা যায়নি। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিজেদের দিকে যোগদানের প্রয়াস দেখা দিয়েছিল। আর এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন বিধানসভায় বিজেপি থেকে প্রচুর কর্মী যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। এদিন কুশমণ্ডিতে তৃণমূলের পার্টি অফিসে জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি অম্বরীশ সরকার শহিদ দিবস উপলক্ষে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই কুশমণ্ডির আকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩০ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেয়। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি। এই প্রসঙ্গে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি বলেন, আকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের উৎপল সরকার ও মিলিক সরকারের নেতৃত্বে ৩০ জন দলবদল করে আমাদের দলে যোগদান করলেন।এদিন এই প্রসঙ্গে দলবদলকারীদের বক্তব্য, বিজেপিতে থেকে কাজ করা যাচ্ছে না। তাই আমরা উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। যদি ওবিজেপির তরফ থেকে এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপি নানা জায়গায় তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াতে দল ভাঙাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে তৃণমূলে যোগদান অনুষ্ঠিত হল, তাতে বিজেপি কিছুটা হলেও চাপে পড়ল। যদি সংগঠনে জোর না দে গেরুয়া শিবির তবে পরবর্তীকালে এই নিয়ে বিপদে পড়তে হতে পারে বলে মত রাজনৈতিকমহলের। আপনার মতামত জানান -