এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভার আগে শাসকদলকে স্বস্তি দিয়ে বিজেপির মন ভেঙে ঘরে ফিরলেন একঝাঁক বিক্ষুব্ধ তৃণমূলী

লোকসভার আগে শাসকদলকে স্বস্তি দিয়ে বিজেপির মন ভেঙে ঘরে ফিরলেন একঝাঁক বিক্ষুব্ধ তৃণমূলী

বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ঘরে ফিরে এল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদে দাঁড়ানো কুমারগ্রামে শাসকদলের বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীরা ঝাঁক বেঁধে দলে ফিরলেন। তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়ি ডাকবাংলোতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তাঁদের সকলকেই দলে পুনরায় স্বাগত জানানো হল। পঞ্চায়েত ভোটে কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০ জন,পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১ জন এবং জেলা পরিষদে দাঁড়ানো ১ জন নির্দল প্রার্থী এদিন দলে দলে পুরানো দলে ফিরে এলেন।

অন্যদিকে,ব্লকের খোঁয়ারডাঙা-১, ২, কামাখ্যাগুড়ি-১, ২ এবং চ্যাংমারী এই পাঁচটি পঞ্চায়েত থেকে নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে শাসক দলের ২০০০ বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থক ফের দলে ফিরে এলেন। শাসকদলের এই নির্দল প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন,কেউ বা জয়ীও হয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে যে বিক্ষুব্ধ নেতা এদিন দলে ফিরে এলেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ব্লক কার্যকরী সভাপতি ধীরেশ চন্দ্র রায়, নিতাই সরকার, মিহির নার্জিনারি ও মনোজ বর্মন।

এঁদের  সকলের হাতে জোড়া ফুলের পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা, যুব তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি মতিলাল কুজুর, কুমারগ্রামে দলের পর্যবেক্ষক মৃদুল গোস্বামী ও ব্লক সভাপতি দুলাল দে। তবে একসময় পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়েই যে ঝাঁক বেঁধে এতো সংখ্যক নেতা-কর্মীরা অভিমান করে বিরোধীশিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন,সেটা মানতেই চাইলেন না জেলা তৃণমূল শীর্ষকর্তারা। এ ব্যাপারে জেলা সভাপতি মোহন শর্মা জানান,দলীয় কর্মীদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে এখন সব অভিমান কেটে গিয়েছে। ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরে এসেছে। একই কথায় সায় দিলেন বিক্ষুব্ধদের নেতা ধীরেশ চন্দ্র রায়ও।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য,আসন্ন লোকসভা ভোটে যে কটা কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম। কারণ এই এলাকাই ধীরে ধীরে বিজেপির শক্তিঘাঁটি হয়ে উঠছে। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই এলাকা থেকেই দলে দলে শাসকদলের নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেয় শুধুমাত্র ভোটের টিকিট পাওয়ার স্বার্থে। এভাবে ভোটের আগে সংগঠনে ধস নামিয়ে বিরোধীশিবিরে চলে যাওয়ায় দল বিদ্বেষীর প্রতি বেজায় চটে গিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীরা।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছিলেন যে,বিক্ষুব্ধদের কোনোভাবেই আর তৃণমূলে জায়গা দেওয়া হবে না। সেখানে ফের কেন ঢাকঢোল পিটিয়ে বিক্ষুব্ধদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হল তা নিয়ে স্বাভাবিক প্রশ্ন থেকেই যায়। অভিজ্ঞমহলের ধারণা,সবটাই করা হচ্ছে লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে। নির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধিতেই ফোকাস করেছে তৃণমূল। আর তা করতে গিয়ে নিজেদের কথার খেলাপ করে বিক্ষুব্ধদের দলে স্বাগত জানাতেও পিছপা হচ্ছেন না তাঁরা। তাছাড়া কুমারগ্রামে যেভাবে বিজেপি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। সেটা মাথায় রেখেও বিজেপিকে দমিয়ে রাখতে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই বিক্ষুব্ধদের সবাইকেই দলে ফিরিয়ে নিল তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!