এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে গ্রেপ্তার ২ তৃণমূল কর্মী, অস্বস্তি বাড়ছে শাসকশিবিরে

বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে গ্রেপ্তার ২ তৃণমূল কর্মী, অস্বস্তি বাড়ছে শাসকশিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট আবারও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো রাজ্যে। একের পর এক বিজেপি নেতার আত্মহত্যার ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল বাংলার রাজনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেই হেমতাবাদের বিজেপি নেতার আত্মহত্যার ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনার পারদ চড়েছিল গেরুয়া শিবিরে। যদিও হেমতাবাদ এর নেতার মৃত্যুর ঘটনাকে বিজেপির পক্ষ থেকে হত্যা বলে চিহ্নিত করা হলেও পরবর্তীতে সেটি আত্মহত্যা বলেই প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এবারের ঘটনাটি সম্পূর্ণ অন্যরকম।

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর রামনগর এক ব্লকের অর্জুনী গ্রামে বাড়ির পাশের পানের বরজ থেকে এক বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। বিজেপি প্রথম থেকেই এই মৃত্যুর ঘটনাটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে। এবং পুলিশও তাঁদের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ইতিমধ্যেই এলাকার দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। ধৃতদের মধ্যে চক্রান্তকারী হিসাবে একজন মহিলাও আছেন বলে খবর। পূর্ণচন্দ্র দাস এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

বুধবার বিকেলে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় পুলিশের হাতে। পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁর পুরনো বিবাদ ছিল একটি রাস্তা ব্যবহার করা নিয়ে। পুরনো বিবাদজনিত কারণে এই ঘটনা কিনা, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে পূর্ণচন্দ্র দাসের বোন দাবি করেছেন, তাঁর দাদাকে তৃণমূলের লোকেরাই খুন করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে মৃত বিজেপি নেতা পূর্ণচন্দ্র দাসের ছেলে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং তারই ভিত্তিতে এক মহিলাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবং জানা গেছে, ধৃতেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের কর্মী।অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে প্রকৃত তথ্য স্পষ্ট হবে না। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপি নেতাদের হত্যা করে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল। একই সুরে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও এদিন দাবি করেন, বিজেপি নেতা পূর্ণচন্দ্র দাসকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে এই অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই তৃণমূল জড়িত নয়। পুলিশ অভিযুক্ত ভেবেছে তাই গ্রেপ্তার করেছে উক্ত তৃণমূল কর্মীদের। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক ধৃত মহিলাকে 14 দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন এবং আরো একজনকে ছয় দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবির থেকে রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

বিজেপির অভিযোগ, এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রীতিমতো ভেঙে পড়ছে। সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করে একুশের বিধানসভা নির্বাচন জেতার লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক হত্যার ঘটনায় যেভাবে এবার তৃণমূলের নাম জড়িয়ে গেল তাতে নিঃসন্দেহে অস্বস্তির মুখে পড়বে রাজ্যের শাসক দল একুশের নির্বাচনের আগে। আপাতত বিজেপি নেতা পূর্ণ চন্দ্র দাসের মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা তা প্রমাণ করবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। আর সেদিকেই নজর এখন সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!