বিজেপিকে চাপে রেখে বাংলায় শিবসেনা! স্বস্তি মমতার! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য January 6, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় এআইএমআইএমের পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে থাকলেও, হায়দ্রাবাদের এই রাজনৈতিক দল যদি প্রার্থী দেয়, তাহলে ভোট কাটাকুটিতে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আসনেই চাপে পড়তে পারে। যার ফলে শেষ হাসি হাসতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই সমীকরণ যখন তৃণমূলকে ভাবাতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই হিন্দু ভোটে থাবা বসাতে এবং বিজেপির অস্বস্তি বাড়াতে শিবসেনার পক্ষ থেকে বাংলায় প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানা গেল। স্বাভাবিক ভাবেই এআইএমআইএম তৃণমূলের কাছে অস্বস্তির কারণ হলে এখন শিবসেনা বিজেপির কাছে বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, আগামী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে 100 টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন শিবসেনা। আর দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে আসার কথা রয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই এখন বিজেপির অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হিন্দুদের সমর্থন তাদের দিকে রয়েছে। সেদিক থেকে এআইএমআইএম বাংলায় প্রার্থী দিলে সংখ্যালঘু ভোট যদি অনেক আসনের কাটাকুটি হতে শুরু করে, তাহলে হিন্দু ভোট যদি বিজেপির দিকে থাকে, তাহলে বিজেপি অনেকটাই ভালো ফল করতে সক্ষম হবে, এমনটাই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিজেপির হিন্দু ভোটে থাবা বসাতে শিবসেনার পক্ষ থেকে বাংলার 100 টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হলে তা সব থেকে বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে গেরুয়া শিবিরের কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে শিবসেনার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, মেদিনীপুর, দমদম, ব্যারাকপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ বেশ কিছু জায়গায় কমপক্ষে 100 টি আসনে প্রার্থী দেবে তারা। শুধু তাই নয়, তারা প্রার্থী দিলে তাদের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করতেও বাংলায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টা করেছিলেন, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একত্রিত হওয়ার। সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের শিবসেনাকে আহ্বান জানাতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এমনকি বিভিন্ন ইস্যুতে শিবসেনার পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার কথাও বলা হয়েছিল। আর এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে সেই শিবসেনা বাংলার হিন্দু ভোটে থাবা বসাতে যেভাবে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়ে দিল, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বস্তি পেলেও, বিজেপির পক্ষে তা বড় অস্বস্তির কারণ বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এআইএমআইএম যদি সংখ্যালঘু ভোট থাবা বসিয়ে শিবসেনার অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়, তাহলে শিবসেনা যে হিন্দু ভোটে থাবা বসিয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়াবে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -