এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘বিজেপিকে ভোট দিলে সরকারি সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে’ ফতোয়া দিয়ে বিতর্কে তৃণমূল!

‘বিজেপিকে ভোট দিলে সরকারি সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে’ ফতোয়া দিয়ে বিতর্কে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার বিজেপিকে ভোট দিলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে বলে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদহের চাচোল এলাকায়। জানা গেছে, চাচল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দীপংকর রাম বুধবার ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই কালিতলা এলাকায় প্রচারে যেতেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন।

যেখানে দীপঙ্করবাবু শুনতে পান যে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, ভোট না দিলে আবাস যোজনা তালিকা থেকে তাদের নাম কেটে দেওয়া হবে। এমনকি যদি বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়, তাহলে পঞ্চায়েত থেকে যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যায়, তাও পাওয়া যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের আগে সাধারণ বাসিন্দারা বিজেপি প্রার্থীর কাছে অভিযোগ করায় তৃনমূল কংগ্রেস যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী দীপংকর রাম বলেন, “পঞ্চায়েতের সদস্যরা সরাসরি মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন। বলছেন যে, বিজেপিকে ভোট দিলে তাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে না। আবার কোথাও পতাকা খুলে ফেলা হচ্ছে। নানা রকম ভাবে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা চলছে। আসলে এটাই ওদের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওরা বুঝতে পেরেছে, ওদের যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। সেটা বুঝেই এখন ওরা এভাবে মানুষকে বাধা দিচ্ছে। এটাই ওদের শেষ খেলা।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তোলা হলেও তা অস্বীকার করেছেন ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে চাচোল এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, “মানুষের নজর কাড়তে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বিজেপি।” অর্থাৎ ভোটের বাক্সে কি ফলাফল হবে, তা সময় বলবে। কিন্তু তার আগে যেভাবে ফতোয়া জারি করে মানুষকে সুযোগ সুবিধা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

একাংশ বলতে শুরু করেছেন, এই গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত চাপের মুখে পড়ে গেল। এবারের নির্বাচনে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে। কিন্তু তার মাঝেই যেভাবে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে ভোট দিলে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে মানুষকে শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল, তা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন একাংশ।

গণতন্ত্রের উৎসবে মানুষ কাকে সমর্থন করবেন, এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তাই বলে যদি মানুষের সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে কোনো একটি রাজনৈতিক দল, তাহলে গণতন্ত্র যে সম্পূর্ণরূপে বিপন্ন, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে একাংশকে। সব মিলিয়ে চাচল বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগ গোটা পরিস্থিতিকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!