চেষ্টা করলেও কি আটকানো যাবে না অমিত শাহকে? রাজ্যের রঙ গেরুয়া হবেই? নতুন পদক্ষেপে জল্পনা জাতীয় বিজেপি রাজনীতি June 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মণিপুরে প্রায় ডুবতে বসেছিল বিজেপি সরকার। কারণ, চলতি মাসের গোড়ায় আচমকাই বিজেপির জোট সঙ্গী এনপিপির 4 এবং বিজেপির 3 বিক্ষুব্ধ বিধায়ক গেরুয়া শিবিরের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই মণিপুরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকে। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অসমের মন্ত্রী তথা নর্থইস্ট ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের সংযোজক হেমন্ত বিশ্ব শর্মা পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামলেন বলে জানা গেছে। বুধবার হেমন্ত বিশ্বশর্মার তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রধান তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনরাড সাংমা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে খবর। আর তার পরেই রাতারাতি ছবিটা পাল্টে যায়। মণিপুরের বিজেপি সরকারকে স্থায়ীত্ব দেওয়ার জন্য অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলি এগিয়ে আসে। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর অসমের মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা একটি টুইট করেন এবং সেখানেই গেরুয়া শিবিরের সমর্থকদের জন্য জানিয়ে দেন বড়সড় সুখবর! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি ট্যুইটে লেখেন, কোনরাড সাংমা আর মণিপুরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই জয় কুমার সিংয়ের এর নেতৃত্বে এনপিপির প্রতিনিধি মণ্ডল দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মণিপুরের উন্নয়নের জন্য তারা বিজেপিকে সমর্থন জানাবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব রাম মাধব বুধবার জানিয়েছিলেন, এন. বিরেন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন মণিপুর সরকার তাঁদের কার্যকাল সম্পূর্ণ করবে। এ প্রসঙ্গে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বিরেন সিং পাল্টা জানান, এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা এবং খুব শীঘ্রই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে হেমন্ত বিশ্বশর্মা পুরো ব্যাপারটিকে সামলে নিলেন তা যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য। নর্থইস্টে বিজেপির রমরমা দেখা গিয়েছিল আগেই। কিন্তু যেভাবে মণিপুরে একটি রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা বিজেপির বিপক্ষে যেতেই পারত কিন্তু হেমন্ত বিশ্বশর্মা গেরুয়া শিবিরের মুশকিল আসান হিসেবে নিজের বুদ্ধিমত্তায় যেভাবে পুরো ব্যাপারটিকে সামলে নিলেন তাতে বলা যায়, মণিপুরে এবার মান বাঁচল পদ্ম শিবিরের। তবে, গেরুয়া শিবিরের আরেকটি অংশের দাবি, হেমন্ত বিশ্বশর্মা সামনে থেকে ‘খেললেও’ পিছনের আসল মাস্টারপ্ল্যান ছিল অমিত শাহের। যেভাবে প্রায় হাতের বাইরে চলে যাওয়া মনিপুরকে তিনি কার্যত ‘তুড়ি মেরে’ গেরুয়া শিবিরের হাতেই রেখে দিলেন – তাতে নতুন করে মান্যতা পেল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে তাঁর ‘চাণক্য’ নীতি। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে তার ফলে আওয়াজ উঠে গেছে – অমিত শাহ ইচ্ছা করলেই সেই রাজ্যের রং গেরুয়া হয়ে যাবে – কোনোভাবেই তা বিরোধীরা আটকে রাখতে পারবে না! আপনার মতামত জানান -