এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপি কেন ২০১৯ এ এত গুলো আসন পেয়েছে এবার নিজেদের দিকে আঙ্গুল তুলে জানালেন কারণ!

বিজেপি কেন ২০১৯ এ এত গুলো আসন পেয়েছে এবার নিজেদের দিকে আঙ্গুল তুলে জানালেন কারণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রবিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি শহরে তৃণমূলের বিধানসভা ভিত্তিক একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। গতকালের এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষান কল্যাণী, পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, সেই সঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর, চেয়ারম্যান, জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপারসন, তৃণমূল যুব সভাপতি সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে গতকালের এই সভাতে বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা মোহন বোস উপস্থিত ছিলেন না।

গতকালের এই কর্মীসভার মূল আলোচনার বিষয় ছিল গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির কাছে তৃণমূলের পরাজয়ের কারণ। গত লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের পরাজয় কারণ হিসেবে এদিন আত্মসমালোচনা করলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কল্যাণী। নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে তিনি বললেন,
” আমাকে সবাই পছন্দ করে না, জানি। আমাদের মধ্যে অনৈক্যর জন্যই গত লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতেছিল।” তবে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেতে দলকে ঐক্যবদ্ধ হবার নির্দেশ দিয়ে জেলা সভাপতি জানালেন, ” নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার সময় পরে অনেক পাব। আপাতত বিধানসভা নির্বাচনের কথা ভেবে আমাদের একসঙ্গে চলতে হবে।”

গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা, অন্তর্দ্বন্দ্ব, দলের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানালেন, ” নির্বাচনে আপনারা পদ দেবেন না, পতাকা দেবেন না। দলে মিটিং, মিছিল করতে হলে অনুমতি নিতে হবে। অথচ হারের কৈফিয়ৎ চাইবেন। এতবড় দাসখত লিখে দিইনি। আমাকে ভোটে দায়িত্ব দিন। তৃণমূলকে জিতিয়ে আনতে না পারলে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেব।”

জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে শান্ত করতে এগিয়ে এলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে দলকে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, বহিরাগত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় কোন নেতাকেই দলের প্রার্থী করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকালের কর্মী সম্মেলনে জেলা তৃণমূল এসিএসটি সেলের নেতা কৃষ্ণ দাস জানালেন যে, জলপাইগুড়িতে অনেক বড় বড় নেতা থাকার পরেও পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু ভোটে পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করা হয়নি। সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানালেন যে, গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অল্পের জন্য পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। জগদ্দল পাথরের মতো চেয়ারে বসে থেকে সমস্যার সমাধান হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রচার করতে হবে। দলকে নিয়ে যেতে হবে মানুষের কাছে।

আবার, গতকালের এই কর্মীসভায় অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা মোহন বসু। এ বিষয়ে মোহন বসুর অভিযোগ, দলের এরকম একটি সম্মেলন করার আগে দলের জেলা কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি। গত শনিবার তাকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই সম্মেলনে কারা কারা অংশগ্রহণ করবেন সে বিষয়ে কিছুই চিঠিতে স্পষ্টভাবে লেখা ছিলো না। একারনেই তিনি উপস্থিত হন নি।

সভায় মোহন বসুর উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে পর্যটন মন্ত্রী জানালেন, তৃণমূল দলের প্রতি তাঁর কিছুটা ক্ষোভ আছে, এ বিষয়ে মোহন বাবুর সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। গতকাল তৃণমূল মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ জানালেন, ” মোহনবাবু আমাদের প্রবীণ নেতা। দল তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিয়েছে। সন্দীপবাবুও আমাদের দলের সম্পদ।” এককথায় জেলায় তৃণমূল দলের গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টিকে গতকাল স্বীকার করেই নিলেন নেতা ও মন্ত্রী সকলেই। আর এর ফলেই ক্রমাগত বাড়ছে বিজেপি। বস্তুত নির্বাচনের আবহে শাসকদলের বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গোষ্ঠীকোন্দল ও অনৈক্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!