প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আগামী বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূলের একেবারে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে বিজেপি। দলকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে তৃণমূলের কাছে বড়সড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। তবে, একটি বিষয়ে বিজেপিকে বারবার শুনতে হয় শাসকদল তৃণমূলের কটাক্ষ। তা হল বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে? বস্তুত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কাকে করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ? তা এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানালেন যে, আগামী দিনে দিলীপ ঘোষ হবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই রাজ্য চালাবেন। সাংসদের এই বক্তব্যে তীব্র জল্পনা শুরু হলো রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ কে হবেন? তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি দল । তবে, বীরভূমের রোডশো থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন যে, কোন বাঙালিকেই করা হবে মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের শাসন রাজ্য থেকে উচ্ছেদ করবে বিজেপির বাঙালি কর্মকর্তারাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোন বাঙালি ভূমিপুত্রকেই করা হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার বাইরে থেকে কাউকে এনে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হবে না, তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এরপরই শুরু হয় জল্পনা। সম্প্রতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে তীব্র জল্পনা চলছিল।

এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে বিজেপির যুব মোর্চার এক সমাবেশে যোগদান করেছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই সমাবেশ থেকে তিনি জানালেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ভাঙবে তৃণমূল দল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হবেন আগামী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানালেন কলকাতার অনেক তৃণমূল নেতা দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু তিনি বলতে চান, একজন প্রকৃত নেতা হলেন দিলীপ ঘোষ। সাংসারিক জীবনে যাননি দিলীপ ঘোষ। একদিন তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তিনিই একদিন রাজ্য চালাবেন। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সম্পূর্ণ ভেঙে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

এভাবেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে রাজ্যের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মন্তব্য করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। প্রসঙ্গত, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একসময়ে জানানো হয়েছিল যে, বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাউকে তুলে ধরা হবে না, ভোটে জয়লাভের পরই মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করা হবে। সেই পরিস্থিতির মধ্যে সৌমিত্র খাঁর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকদের দাবি। তাঁর এই বক্তব্যে বলা যায় ঝড় উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে।