প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির শুরু হয়েছে অভিযোগ বর্ষণ, অভিযোগ খন্ডন ও পাল্টা অভিযোগের পালা। এই আবহে গতকাল সোমবার বিজেপির যুবমোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি অনুপম হাজরা কড়াভাবে জানালেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূলের পার্টি অফিস পে-লোডার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতার এই বক্তব্যের প্রত্যুত্তর দানে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ এগিয়ে এলেন।

প্রসঙ্গত কবিগুরুর নির্মিত শিক্ষাঙ্গন শান্তিনিকেতনের প্রাচীর ভাঙ্গার ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিশেষ আলোচনায় যোগদান করেছিলেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি অনুপম হাজরা। শান্তিনিকেতনে এসে প্রাক্তন সাংসদ এই সমস্ত ঘটনা বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে উপাচার্যকে তিনি জানিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে বিশ্বভারতীতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেইসঙ্গে বিশ্বভারতীকে আবার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উপাচার্যের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন।

উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা পৌষ মেলার মাঠের ভগ্ন প্রাচীর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এখান থেকেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ” যেভাবে তৃণমূলী গুন্ডা বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদতে বিশ্বভারতীর মধ্যে পে-লোডার এনে স্মারক গুঁড়িয়ে ফেলা হল, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঠিক সেভাবেই পে-লোডার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস! ’’

রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি অনুপম হাজরার এই বিতর্কিত মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতার এই বক্তব্যর প্রত্যুত্তরে বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেছেন, ‘‘ উত্তর ভারত ও গুজরাতের বাহুবলী সংস্কৃতিকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি। অফিস ভেঙে দেওয়ার হুমকি থেকেই পরিষ্কার যে, তারা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পছন্দ করে। এর উত্তর মানুষই দেবেন।’’

অন্যদিকে মেলার মাঠের প্রাচীর ভাঙার ঘটনায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে অভিযুক্ত করেছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। এ বিষয়ে অনুব্রত মন্ডলকে তিনি ‘মূল কালপ্রিট’ বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। তাঁর এই বক্তব্যর জবাবে জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেছেন, ” বীরভূমের উন্নয়নে অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা সাধারণ মানুষ জানেন। অনুপমের মতো অরাজনৈতিক লোকের থেকে সেটা জানার প্রয়োজন নেই।’’

অন্যদিকে আবার রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ জানিয়ে গত রবিবার বোলপুরের চৌরাস্তা ও শ্যামবাটি এলাকায় এক বিশেষ অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচির আয়োজন করেছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতৃত্ব সভা শেষে সভাস্থল পরিষ্কার না করে চলে গিয়েছিল। গত সোমবার এই স্থল ঝাঁট দিয়ে পরিষ্কার করলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা ও বিজেপির অন্যান্য নেতা কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, ” আমরা স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। তাই জায়গাটি সবাই মিলে পরিষ্কার করেছি।’’ অনুপম হাজরার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানালেন, ” নেই কাজ তো খই বাছ। প্রচারে আসার জন্য এ সব করা।”