এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে সব কোন্দল উড়িয়ে নেতাদের এককাট্টা করে ঝাঁপিয়ে পড়তে বড়সড় উদ্যোগ নিলেন দিলীপ ঘোষ

বিজেপিতে সব কোন্দল উড়িয়ে নেতাদের এককাট্টা করে ঝাঁপিয়ে পড়তে বড়সড় উদ্যোগ নিলেন দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে দলের সমস্ত ক্ষত নিরাময় করে দলকে প্রাণ চঞ্চল করে সফলতার শিখরে পৌঁছে দেবার চেষ্টায় নতুন করে জেগে উঠার সংকল্প নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি। কিন্তু এরমধ্যেই দলে বারবার দেখা দিচ্ছে অন্তর্দ্বন্দ্বের ক্ষত। যা দুর্বল করে দিচ্ছে দলের ভিত্তি। দলের এই ক্ষত নিরাময় করে দলকে একসূত্রে বাধার লক্ষ নিয়ে এবার এগিয়ে এলেন স্বয়ং দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, অল্প কিছুদিন আগে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা নির্মাণকল্পে দিল্লিতে সাতদিন ব্যাপী বৈঠকের আয়োজন করেন রাজ্য ও জাতীয় স্তরের বেশকিছু নেতৃত্ব । এই বৈঠকে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের মতান্তর, সর্বোপরি বৈঠক সম্পূর্ণ হবার আগেই মুকুল রায়ের কলকাতায় ফিরে আসা নিয়ে দানা বাধে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। এই বৈঠকেই নিজের দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সুর উচ্চ করেন বিজেপির দাপুটে সংসদ অর্জুন সিং। রাজ্য বিজেপির অন্তরে গোষ্ঠীর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ যেমন তিনি আনেন, সেই সঙ্গে দলের বিরুদ্ধে করেন আরো একটি গুরুতর অভিযোগ। দলের বিরুদ্দে আঙ্গুল উঁচিয়ে তিনি জানান, দু-একজন নেতাই এই দলের মূল চালিকা শক্তি, যেখানে বাকিরা শুধুই দলের শোভাবর্ধনকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরেই বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের আগুনে ঘৃতাহুতি হয়। যদিও অর্জুন সিং সরাসরিভাবে কোন নেতার নাম নেননি, কিন্তু তবুও পরিস্কার ভাবেই তিনি বুঝিয়ে দেন যে তাঁর অভিযোগের তীর যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির সাংগঠনের সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের দিকে নিক্ষিপ্ত। আর এরপরই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে অন্ধকারে রেখে বাবুল সুপ্রিয়ের বাড়িতে নৈশভোজে কতিপয় রাজ্য বিজেপি নেতার উপস্থিতি বিজেপির গোষ্ঠীদন্দ্ব তথা ভাঙ্গনের জল্পনা বাড়ায়। যদিও দিলীপ ঘোষ এই সবকিছুই অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন। কিন্তু এরপরেই দিলীপ ঘোষ বিতর্কিত একটি বক্তব্য রাখেন যে, তিনি নিজের একক ক্ষমতাবলেই রাজ্য বিজেপিকে রাজ্যের ক্ষমতায় আনার সামর্থ্য রাখেন।

এরসঙ্গেই দলের ভেতরে তিনি নিজের বিরোধীদের প্রতি তিনি কটাক্ষ করেন, “যাঁদের বিশ্বাস হবে না তাঁরা ঘরে বসে থাকুন। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হলে মিষ্টি খেয়ে যাবেন।” দিলীপ ঘোষের এই বার্তার পর বিজেপির গোষ্ঠীদন্দ্বর সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। রাজ্য সভাপতির এই বয়ানের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে তা জানানর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। বিশেষসূত্র মতে, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে এরপর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। এই ঘটনার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে ওঠা বিভিন্ন বিতর্ক ও সেইসঙ্গে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে দূর করতে নিজেই পদক্ষেপ নিলেন রাজ্য সভাপতি।

অভিমানী সাংসদ অর্জুন সিংএর হাতে স্বহস্তে রাখি পরিয়ে দিলেন আর বলেন, ” অর্জুনের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। এসবই বিরোধীদের রটনা। অপপ্রচার করে তৃণমূল আমাদের একতা ভাঙতে পারবে না।”প্রসঙ্গত, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় অনুষ্ঠিত চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসকদলের প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য বিজেপির অন্দরে ফাটল ধরাতে তৎপর। রাজ্যসরকারের উদেশ্যে তিনি আরো বলেছেন, “২০২১ নির্বাচন আমাদের পাখির চোখ। আমরা কেউই সেই লক্ষ্য থেকে পিছু হটব না। আমরা এক হয়েই যুদ্ধ জয় করব। তৃণমূল হারবেই। সেই হারার ভয়েই এসব ফন্দি আঁটছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!