এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে কোনঠাসা মুকুল? মোদী-শাহের দরবারে সরাসরি ব্যাট ধরলেন স্বপন-বাবুল? জল্পনা চরমে

বিজেপিতে কোনঠাসা মুকুল? মোদী-শাহের দরবারে সরাসরি ব্যাট ধরলেন স্বপন-বাবুল? জল্পনা চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি যদি কোনো জায়গায় হাত দেন, তাহলে সেই জায়গায় যে সাফল্য মেলে, তা এর আগেও বহুবার প্রমান করে দিয়েছেন মুকুল রায়। তৃণমূলে থাকার সময় বিরোধী দল ভাঙ্গানো থেকে শুরু করে কিভাবে ভোট করতে হবে, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। যার কারণে একসময় তৃণমূল কংগ্রেসকে বলা হত “তৃণমুকুল কংগ্রেস।” প্রথমদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে অতটা গুরুত্ব না পেলেও, 2004 সালের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন মুকুল রায়।

তারপর একের পর এক দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান তিনি। আর দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই খেলা দেখাতে শুরু করেন। যতগুলো নির্বাচন তিনি তৃণমূলে থাকার সময় দায়িত্ব নিয়ে করিয়েছেন, প্রায় সবকটি নির্বাচনেই সাফল্য পেতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ধীরে ধীরে দল 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলে আরও গুরুত্ব বাড়ে মুকুল রায়ের। তবে 2014 সালের পর থেকে সুর কিছুটা হলেও কাটতে শুরু করে। ঠিকমত গুরুত্ব না পেয়ে বেশ কয়েক বছর আগে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন তিনি। তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, একটা মুকুল গেলে লক্ষ্য মুকুল আসবে।

কিন্তু তেমনটা হতে দেখা যায়নি, উল্টে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, বিধায়করা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। কিন্তু যে মুকুল রায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে বিজেপিকে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছেন, সেই বিজেপিতে এখন তিনি কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে রয়েছেন। যার কারণে তার অনুগামীরা অনেকটাই ক্ষুব্ধ। বারবার তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হবে বলে জানানো হলেও, এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো পদ পাননি।

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে মুকুল রায়কে। শুধু তাই নয়, বিশেষ সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে মুকুলবাবুর। আর এই পরিস্থিতিতে তিনি বিজেপি ত্যাগ করবেন বলেও নানা মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে মুকুল রায়ের মত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের জন্য যে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় সাফল্য পেয়েছে এবং মুকুল রায় না থাকলে যে অনেকটাই অসুবিধা হতে পারে জনতা পার্টির, তা বুঝতে পেরে এবার মুকুল রায়ের হয়ে ব্যাটিং করতে ময়দানে নামল দুই বিজেপি নেতা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা বঙ্গসন্তান স্বপন দাশগুপ্ত এবং আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় মুকুল রায় এবার অমিত শাহর দরবারে হাজির হতে চলেছে। মুকুল অনুগামীদের একাংশের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের মূল সেনাপতি হতে চাইছেন। সেদিক থেকে মুকুল রায়কে তিনি কার্যত দলে কোণঠাসা করতে চাইছেন। কিন্তু ভোট রাজনীতি বেশ ভালই বোঝেন মুকুলবাবু।

তাই তাকে যদি গুরুত্ব দেওয়া না হয়, তাহলে তিনি এমন কোনো খেলা খেলে দিতে পারেন, যার ফলে আখেরে ক্ষতি হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের কথা চিন্তা করে স্বপন দাশগুপ্ত এবং বাবুল সুপ্রিয় মুকুল রায়ের হয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সওয়াল করতে চলেছেন। অর্থাৎ তারা বুঝতে পেরেছেন যে, মুকুল রায়কে ছাড়া বাংলায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনা কার্যত অসম্ভব। কেননা বর্তমানে বাংলার যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে, সেই শাসকদলের অন্দরের খুঁটিনাটি খবর জানেন মুকুলবাবু।

তাই তৃণমূলের ভেতরের দুর্বলতাকে আরও দুর্বলের দিকে নিয়ে যেতে হলে মুকুল রায়ের মত নেতাকে দরকার। সেদিক থেকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে যদি মুকুল রায়ের বনিবনা না হয়, তাহলে দল আরও সমস্যায় পড়তে পারে। ফলে মুকুল রায়কে অত্যন্ত “ফ্যাক্টর” হিসেবে ধরে তাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এবার কেন্দ্রের কাছে দুই বাঙালি বিজেপি নেতার সওয়াল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন বাবুল সুপ্রিয় এবং স্বপন দাশগুপ্তের কথামত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!