বিজেপি করলে মিলবে না কন্যাশ্রী, আজব ফতোয়া জারি ভাতারে, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে তৃণমূল বর্ধমান বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পিতা-মাতা বিজেপি করার কারণে ছাত্রীদের বঞ্চিত করা হল কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে, এমনই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ভাতারের ১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পিত-মাতা বিজেপি করার কারণে এই গ্রামের ৫ জন ছাত্রীকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। এ কারণে প্রকল্পের অর্থসাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এই পড়ুয়ারা। ভাতারের আমরুন ১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান দীপক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী মৌসুমী মালিক অভিযোগ করেছেন যে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে পঞ্চায়েতের যে দুটি শংসাপত্রের প্রয়োজন হয়, তা দেননি পঞ্চায়েত প্রধান। বিধানসভা নির্বাচনে তার অভিভাবকরা বিজেপির প্রচার করেছিলেন, এজন্য শংসাপত্র চাইতে গেলে এক সপ্তাহ ধরে তাদের ঘোরানো হয়েছে। পঞ্চায়েত অফিস, পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এরপরও তাদের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে এলাকাজুড়ে। স্রেফ বিজেপি করার কারণে কাউকে কি সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা যায়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাতারের আমরুন ১ পঞ্চায়েত প্রধান দীপক ভট্টাচার্য। কেন তিনি তাদের শংসাপত্র দেননি? এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, তার উত্তরে তিনি জানিয়েছেন যে, নাবালিকাদের হাতে কখনোই শংসাপত্র দেওয়া যায় না। এই পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা নাকি জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা চান না। এ কারণে তাঁদের শংসাপত্র দেয়া হয়নি। পরে যখন তারা আবেদন জানিয়েছিলেন, তখন অভিভাবকদের বলা হয়েছিল পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দেখা করতে। কিন্তু তারা কেউ সেখানে যাননি। তবে, পঞ্চায়েত প্রধান যে দাবিই করুন না কেন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। শংসাপত্র না দেওয়া এই ৫ জন ছাত্রী আমারুন স্টেশন শিক্ষা নিকেতনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরতা। এই ৫ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা বিজেপিকে সমর্থন করেন। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে তাঁরা প্রচার করেছিলেন। এ কারণেই তাদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় শংসাপত্র দিতে অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান দীপক ভট্টাচার্য, এমন অভিযোগ উঠেছে। যে কারণে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অর্থসাহায্য থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন। গতকাল অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে ভাতারের বিডিওর সঙ্গে দেখা করেছেন এই ৫ জন পড়ুয়া। যাদের মধ্যে রয়েছেন মৌসুমী মালিক সহ সুচিত্রা দাস, ঋত্বিকা সরকার, কুসুম সরকার ও পল্লবী ঘোষ। ইতিপূর্বে, ভাঙ্গড়ের ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমকি দিয়েছিলেন যে, তৃণমূলের কাছে যদি আত্মসমর্পণ না করা হয়, তবে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হবে না। এবার ভাতারের এই ঘটনা নতুন সংযোজন বলা চলে। আপনার মতামত জানান -